মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয় গাজীপুর ও চট্টগ্রামে। গাজীপুরে দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিরস্ত্র করার উদ্যোগ নিলে ১৯ মার্চ বিদ্রোহ করেন বাঙালি সৈনিকরা।
২৪ মার্চ চট্টগ্রাম সীমান্তে ইপিআরের পাকিস্তানি সৈনিকদের হত্যা ও ২৫ মার্চ রাতে পুরো চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাঙালিরা।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর আন্দোলন দুর্বল করতে অন্যান্য সেনানিবাসের মতো গাজীপুরের জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বাঙালি সৈন্যদের অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদর দপ্তর।
কিন্তু মুক্তিকামী বাঙালি সৈন্যরা অস্ত্র জমা দেননি। বরং স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে তারা চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত অবরোধ সৃষ্টি করেন বলে জানান সাবেক সেনাপ্রধান বীর উত্তম মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (অব.)।
অন্যদিকে বীর উত্তম মেজর রফিকুল ইসলাম (অব.) এবং বীর উত্তম কর্নেল ড. অলি আহমেদ (অব.) বলেন, চট্টগ্রামেও সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন ইপিআর ও অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সদস্যরা।
২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু হলে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা সারাদেশেই বিদ্রোহ ও প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু করেন।
বিস্তারিত দেখুন পরাগ আজিমের ভিডিও রিপোর্টে: