বায়ান্নর ২২ শে ফেব্রুয়ারি শহীদদের গায়েবানা জানাযা শেষে ভাষা তাদের স্মৃতি অমর করার উদ্যোগ নেয়ার দাবী উঠে। রাতেই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের নেতারা। আঁকার হাত ভালো ছিলো বলে নকশার দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন ছাত্র বদরুল আলম ও সাঈদ হায়দারকে।
২১ শে ফেব্রুয়ারী পূর্বঘোষিত হরতাল আর সমাবেশ কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ছাত্ররা মিছিল বের করলে গুলি চালিয়েছিলো পুলিশ। নিহত হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ আরো অনেকেই। ২২ ফেব্রুয়ারী সারাদেশে গায়েবানা জানাযার কর্মসূচি ঘোষণা করে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
ঐ রাতেই শহীদদের সম্মানে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের জন্য নকশার কাজ শুরু করেন ঢাকা মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্র বদরুল আলম। নির্মাণ কাজ সহজ করতে বদরুল আলমের নকশার আংশিক পরিবর্তন করে চূড়ান্ত নকশা করেন সাঈদ হায়দার।
ভাষা সংগ্রামী সাঈদ হায়দার বলেন, ইউনিয়ন থেকে বদরুলকে নকশার কথা বলা হলে তিনি তা করে দেন। তার নকশা সুন্দর ছিলো কিন্তু করতে সময় লাগতো। পরে আমাকে ডাকা হয়। আমি একটি আইডিয়া দেই যা বদরুলেরও ভালো লাগলো। এটা একদিক দিয়ে প্রতীকও হয় পরে তা ভেবে দেখেছি। তবে তখন আমরা কোনো প্রতীক ভাবিনি।
বাঙ্গালীর উচ্চ শির আর দাবি আদায়ে দৃঢ়তাকে মাথায় রেখে যৌথ উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভের নকশা করেন বদরুল আলম ও সাঈদ হায়দার।
সাঈদ হায়দার আরো বলেন, এই যে কিউব তা আন্দোলনের বলিষ্ঠতা প্রমাণ করে। আর পিরামিড শির উঁচু করে রয়েছে। কারো কাছে মাথানত করেনি।
২৩ ফেব্রুয়ারী রাতেই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের নির্মাণ শেষ হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ এর উদ্বোধন করেছিলেন ভাষা শহীদ সফিউর রহমানের বাবা।