ইতিহাসের প্রথম নারী পরিচালক পেতে চলেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। শুক্রবারের সভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী ইন্দ্রা নুয়িকে সর্বসম্মতভাবে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসির সদস্য দেশগুলো। চলতি বছরের জুনে দায়িত্ব বুঝে পাবেন নুয়ি।
গত বছরের জুনে ক্রিকেটকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার বৃহত্তর পরিকল্পনা হাতে নেয় আইসিসি। তখনই সিদ্ধান্ত হয় ১৭ জন পরিচালক নিয়োগ দেয়ার বিষয়টিও। যার মধ্যে ১২ পরিচালক নিয়োগ পাবেন ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোর্ড থেকে, ৩ জন নিয়োগ পাবেন ৩ সহযোগী দেশ থেকে। চেয়ারম্যান হবেন একজন। বাকী আরেকজন হবেন স্বাধীন পরিচালক এবং অবশ্যই নারী। পরে গত নভেম্বর থেকে শুরু হয় আইসিসির পরিচালক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
একজন সফল নারী হিসেবে ইন্দ্রা নুয়ির নিয়োগে ভেটো দেয়নি সদস্য কোন দেশই। আইসিসির প্রথম নারী পরিচালক হওয়ার আগে নুয়ি সামলেছেন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পানীয় প্রতিষ্ঠান পেপসিকোর প্রধান নির্বাহীর পদ। ফরচুন ম্যাগাজিনের বিবেচনায় হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীও।
আইসিসির একজন পরিচালক হতে পারায় খুশি নুয়ি নিজেও। জানিয়েছেন বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ও।
‘আমি ক্রিকেটকে দারুণ ভালোবাসি। ছোটবেলায় ও কলেজে উঠেও ক্রিকেট খেলেছি। এই বয়সে এসে সেই ক্রিকেটই আমাকে শেখাবে কীভাবে দলগতভাবে, ধৈর্য্যের সঙ্গে, শ্রদ্ধা নিয়ে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যায়। প্রথম নারী হিসেবে আইসিসিতে যোগ দিতে পারায় আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। একজন পরিচালক ও আইসিসির একজন বন্ধু হিসেবে এখন আমাদের কাজ হবে পৃথিবীর প্রতিটি কোণে ক্রিকেটকে পৌঁছে দেয়া। প্রতিটি বল, প্রতিটা শট নিয়ে যেন গল্প করা যায় সেরকম কারণ ভক্তদেরকে খুঁজে দেয়া।’
একজন স্বাধীন পরিচালক হিসেবে আইসিসিতে দুবছর স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন নুয়ি। পরে পুনরায় নির্বাচিত হলে আরও দুবছরের জন্য পরিচালকের পদ সামলাবেন। সবমিলিয়ে মোট তিনবার, তিন মেয়াদে ছয় বছর আইসিসিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন একজন স্বাধীন পরিচালক।