তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে আড়াইশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে এ বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ৭৪। তবে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ তুলেছে ৪২৯ রান। হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা তাই আক্ষেপ হয়ে সামনে এসেছে।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন যদিও সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে অনেক প্রাপ্তি দেখছেন। সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটারদের ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামার তাগিদ দিলেন।
‘এই রানটা যদি আমরা প্রথম ইনিংসে করতে পারতাম হয়তো অনেক সহজ হতো। প্রথম ইনিংসটা টেস্ট ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ, এটা মাথায় রেখেই ছেলেদের ব্যাটিং করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংটা আমাদের সক্ষমতার প্রতিচ্ছবি। আমরা চেষ্টা করেছি ভালো খেলতে। জয়-পরাজয় থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের প্রক্রিয়াটি ভালো ছিল।’
‘একটা নতুন পরিবেশে খেলা সবসময় কঠিন। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে আমরা সবসময় জানি, ওখানে ব্যাটিং করাটা সহজ না। উইকেট দেখে সহজ মনে হলেও অতটা সহজ না। খুবই ভালো যে, দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা নিজেদের প্রয়োগ করতে পেরেছি। চেষ্টা করেছি উইকেটে থাকার, রান করার। সৌম্য, রিয়াদের ব্যাট থেকে বড় ইনিংস এসেছে। যদিও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছি, তারপরও বলবো এখান থেকে অনেককিছু নিয়ে পরের দুই ম্যাচে যাওয়া যাবে। প্রথম ইনিংসে আমাদের যথার্থ প্রয়োগেরও অভাব ছিল।’ -মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই বললেন খালেদ মাহমুদ।
তামিমের ১২৬ রানের ইনিংসের পরও আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২৩৪-এর বেশি করতে পারেনি। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৭১৫ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৪২৯ রান তুলতে পারে টাইগাররা। খেলা পঞ্চম দিনে যাওয়ার আগেই ইনিংস ও ৫২ রানের ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সৌম্য ১৪৯ ও মাহমুদউল্লাহ করেন ১৪৬ রান।