নির্বাচন কমিশনের-ইসি সংলাপের আমন্ত্রণ পাওয়া প্রথম দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ সংলাপে না আসার কথা জানিয়েছে। কারণ হিসেবে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দেশের বন্যাদুর্গত মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনএফ না অাসায় তা শুরু হবে বিকাল থেকে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে।
নিবন্ধন তালিকার ক্রমের নিচের দিক শুরু হওয়া তৃতীয় ধাপের এ সংলাপে প্রথম আমন্ত্রিত দল ছিল বিএনএফ। মঙ্গলবার বিএনএফ সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংলাপে অংশ নিতে না পারার কথা বলা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনএফ এর জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্য নিয়ে গঠিত বিভিন্ন প্রতিনিধি দল বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বন্যার্তদের সহযোগিতায় কাজ করছে। ২৪ আগস্ট তাদের পূর্ব নির্ধারিত ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি থাকায় একই দিন সংলাপে তাদের অংশগ্রহণ প্রায় অসম্ভব।
তারা সংলাপ সূচির এক মাসের মধ্যে তাদের সংলাপের তারিখ পুনর্নির্ধারণের জন্য কমিশনকে অনুরোধও করে। তবে বিএনএফ’র সূচি পুনর্নির্ধারণের ব্যাপারটি আপাতত বিবেচনায় নাই বলে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আরজু।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, বিএনএফ’র প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। তবে তাদের এ প্রস্তাব আপাতত বিবেচেনায় নেই। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে আমাদের নির্ধারিত যে রোডম্যাপ তাদের প্রস্তাবিত সময় তাকে অতিক্রম করবে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর আগে জানিয়েছেন, ইসিতে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১২টি দলের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঈদের আগে ২৪ আগস্ট থেকে ৬টি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। ঈদের পরে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার সংলাপ শুরু হবে। ইতোমধ্যে এদের কাছে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঈদের পর ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ১১টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বিকাল ৩টায় ইসলামী ঐক্যজোট, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় কল্যাণ পার্টি ও বিকাল ৩টায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপে সুশীল সমাজের ৫৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পরে ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশন সংলাপে বসে। এই দুই দিনে অর্ধশত গণমাধ্যম প্রতিনিধির কাছ থেকে কমিশন বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করে।