প্রথম সুযোগ এসেছিল ২০০৯ সালে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মারুফ-মুরালির ব্যাটে হয়েছিল স্বপ্নভঙ্গ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে দ্বিতীয় সুযোগ, পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জিততে না পারার দুঃসহ স্মৃতি বাংলাদেশ বয়ে বেড়াচ্ছে এখনও। পরে ২০১৬ সালে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার।
তিনবার শিরোপা জেতার সুযোগ হাতছাড়া করা বাংলাদেশের সামনে আরেকটি পথ উন্মুক্ত হয়েছে খরা ঘোচানোর। প্রথমবারের মত ত্রিদেশীয় বা বহুজাতিক কোন আসরের শিরোপা জেতার সুযোগের পথে শনিবার বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কা বাধা। ম্যাচটা জিতে প্রথমবারের মত কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বাদ নিতে চান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও।
১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়া কোন টুর্নামেন্টে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা হয়নি মাশরাফীর। সাকিব-তামিম-মুশফিকদেরও একই অপেক্ষা। অপেক্ষা সুযোগ কাজে লাগানোরও।
‘যদি জিততে পারি, দলের ক্রিকেটারদের মাঝে সেটার প্রভাব খুব ভাল হবে। এটা জিতলে কেমন লাগে বা অনুভূতি কীরকম হয়, জানলে দলের তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে চাওয়া-পাওয়া বা ক্ষুধা তৈরি হতে পারে। আর আমরা যারা আছি তাদের জন্যও চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রফি জিতে আনন্দ করাও জরুরী কখনও কখনও।’
মিরপুরে আগের তিনটি ফাইনাল হার কী ভাবনায় ফেলে দিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে? এমন প্রসঙ্গে মাশরাফী অবশ্য অতীত মনে করে চাপ না বাড়ানোর পক্ষেই।
‘এটা (আগের তিন ফাইনাল হার) আপনার কথা শুনেই মনে হল, আগে মনে ছিল না। মনে না করালেই পারতেন (হাসি..)। যাই হোক। প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই তো নতুন সুযোগ। আমি হয়ত তিনটা ফাইনালে ছিলাম। সাকিব-মুশফিক-তামিমও ছিল। আমাদের জন্য নতুন সুযোগ, নুতন একটা ম্যাচ। হার-জিত তো থাকবেই। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলাই হবে আমাদের লক্ষ্য।’