প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’, দেওয়া হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’। এখন থেকে প্রতি বছর এই পদক দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয় ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’র পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সোহরাব হোসেন তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ, মাসুদুজ্জামান ও মীর মাসরুর জামান এবং অন্যরা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ এ প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে সারা দেশের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর ফেডারেশন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উৎসব উদ্বোধন ও পদক প্রদান করবেন। মুজিববর্ষ থেকে প্রতি বছর এই পদক প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি., শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি. এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কে.এম. খালিদ এম.পি.। দেশবরেণ্য সংস্কৃতিজন এবং রাজধানীর আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
অনুষ্ঠানে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করা হবে। ২০২০ সালে এ পদকে ভূষিত হচ্ছেন গোলাম মুস্তাফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালে সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদকে’ ভূষিত হচ্ছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিন সংস্কৃতিবান্ধব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং গুণী আবৃত্তিশিল্পীসহ ৫০জনকে ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক’ প্রদান করা হবে।
‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’- এই শ্লোগানে আয়োজিত ঐতিহাসিক উৎসবের উদ্বোধন পর্বে জেলা পর্যায়ের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা স্থানীয় পর্যায় থেকে অনলাইনে অংশ নেবেন। ৬৪ জেলায় একই সাথে স্থানীয় সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে উৎসবের অনুষ্ঠানমালা চলবে।