সিলেট থেকে: টি-টুয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন অধিনায়ক থাকা অবস্থায়। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ওয়ানডে নেতৃত্ব ছাড়লেন খেলোয়াড়ি স্বত্তা টিকিয়ে রেখে। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তারও শেষ।
২০১৪ সালের শেষদিকে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাশরাফী। ওয়ানডেতে শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার পেছনে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক রেখেছেন অসামান্য অবদান। তার অধীনে ৮৭ ম্যাচে ৪৯টিতে জিতেছে বাংলাদেশ।
টি-টুয়েন্টি থেকে হঠাৎ অবসরে যাওয়ায় পারেননি ছোট সংস্করণে দলকে খুব শক্তিশালী করতে। ওয়ানডে থেকে অধিনায়কত্বের ইতি টানার বেলায় মাশরাফী জানিয়ে গেলেন ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ভারতের কাছে ১ রানের হারটাই তার কাছে সবচেয়ে কষ্টের।
নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর মাশরাফী কথা বলেছেন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, ভালো সময়-কঠিন সময় নিয়ে, ‘সবচেয়ে কষ্টের ছিল তখন যখন ভারতের সঙ্গে ১ রানে হারলাম বিশ্বকাপে। সেই রাতটা আমি না শুধু, আমাদের পুরো দলের জন্য বীভৎস ছিল। আমরা সবাই হোটেলে এসে বারান্দায় বসে ছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে খেলোয়াড়দের দেখে খুবই খারাপ লাগছিল।’
‘তারপরও অনেক চ্যালেঞ্জিং সময় গেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপও অবশ্যই। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমরা টুর্নামেন্টে টিকে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত যেভাবে আসা অবশ্যই ওটাও কঠিন ছিল। অধিনায়ক হিসেবে যে থাকে সে পরিকল্পনা করে ম্যাচ জেতার জন্য। সেটা না হওয়া মানে বাংলাদেশের যেকোনো ম্যাচে হারাই অধিনায়কের জন্য কঠিন সময়। ব্যক্তিগতভাবে বলব, প্রত্যেকটা হারই আমার জন্য কঠিন ছিল।’
‘অনেক ভালো স্মৃতি আছে। অনেক। অধিনায়ক হিসেবে, এই দলের সদস্য হিসেবে। তবে নেতৃত্ব যখন পাই তখন থেকে এই পর্যন্ত তো একটা অধ্যায়। সেই হিসেবে ভালো স্মৃতিও আছে। খারাপ স্মৃতিও আছে। যেগুলো আমরা খেলোয়াড়রা বহন করেছি এক সাথে। আমার পাশে সবসময় খেলোয়াড়রা ছিল। সমর্থন দিয়েছে। কোচরা ছিলেন। আলাদা করা খুব কঠিন।’
‘এমন অনেক মুহূর্ত আছে যে সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল অনেক কঠিন বা অবিশ্বাস্য, হবে কি না। তারপরও হয়েছে। এমনও কিছু আছে যা কেউ চিন্তা করছে না। ভাবছে বাংলাদেশ দল এটা পারবে। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। দুই জায়গাই (প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি) আছে।’