করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রত্যেকের জন্য মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। ঘরের বাইরে গেলে এটা অত্যাবশ্যক হিসেবে ধরে নিতে হবে। অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক যখন ফেলে দেবেন, সেটাও যেন সঠিকভাবে ফেলে দিই। যেসব মাস্ক পুনর্ব্যবহার করা যায়…কাপড়ের তৈরি মাস্ক আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। কাপড়ের তৈরি তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক খুলে রাখার সময় সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। আধ থেকে এক ঘণ্টা সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর ধুয়ে, শুকিয়ে আবার পরা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষরা কাপড়ের মাস্কই ব্যবহার করতে পারি। কারণ সার্জিক্যাল মাস্ক হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য। চিকিৎসক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যারা জড়িত আছেন, তারা ব্যবহার করেন। কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করলে সাশ্রয়ী হয়।’
সেই সঙ্গে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে। তিন ফুট দূরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। জনসমাগম, জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। যেসব সচেতনতার কথা স্বাস্থ্য অধিদফতর বলে, এগুলো মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বানও জানান নাসিমা সুলতানা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যনুযায়ী দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তহয়েছেন ৪০ হাজার ৩২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৫৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ৪২৫ জন।