প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোটের সাথে দ্বিতীয় দফার সংলাপে বসেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বেলা ১১টার দিকে গণভবন এ সংলাপ শুরু হয়।
এর আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংলাপে প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।’
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে পৌঁছান ড. কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মোস্তফা মহসীন মন্টু অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, আবদুল মালেক রতন ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, সব বিষয়ে আলোচনা হবে। নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি, ইভিএম বাতিলসহ সব বিষয়ে আলোচনা হবে৷ আলোচনা ভালো হবে আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ১০ নেতা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১০ নেতা সংলাপে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনা ছাড়াও ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে সংলাপে অংশ নেন; ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, দীপু মণি, শ. ম. রেজাউল করিম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদের মধ্যে কামাল হোসেন ছাড়াও আছেন, আ স ম আব্দুর রব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মোস্তফা মহসীন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, আবদুল মালেক রতন ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
গত বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রথম দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি করে, বিশেষ কোনো সমাধান হয়নি। আন্দোলন চলবে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংলাপে অনেক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আরো আলোচনা চলবে।
এরই মধ্যে গত ৪ নভেম্বর ৭ দফা দাবির সাংবিধানিক এবং আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে আবারো চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
চিঠি পেয়ে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় সংলাপের জন্য বুধবার দিন নির্ধারণ করা হয়।