খেলোয়াড়দের চাপ না দিয়ে, প্রত্যাশা কমিয়ে রাখলে বাংলাদেশ দল ভালো করবে বলে মনে করছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
সমর্থক এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ‘কম প্রত্যাশা’র আহ্বান জানিয়ে মাশরাফী বলেন, ‘সবাই জানি এখান থেকে বের হতে হলে ম্যাচ জিততে হবে। এর বিকল্প তো নেই। সত্যি কথা বলতে টিমের উপর যদি চাপ প্রয়োগ করেন এ টিম ভাল খেলবে না। যদি প্রত্যাশা কমিয়ে নিয়ে আসেন তবে টিম উজ্জীবিত হবে বেশি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি এটা বুঝি। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে অনেকেই ভেবেছিল প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে, ধুর…এদের সাথে তো জিতবেই। এটা চাপ সৃষ্টি করে।’
বাংলাদেশ দল এখন শ্রীলঙ্কায়। এক বছর আগে এই দেশেই টি-টুয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। মাশরাফীর বিদায়ী ম্যাচের মঞ্চ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট নিধাস ট্রফি শুরু করবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। মাশরাফী এখন শুধুই দর্শক।
ম্যাচের আগের দিন ‘একজন দর্শক হিসেবে’ তার মন্তব্য, ‘খেলব, জিতব খুব স্বাভাবিক। খেলোয়াড়রাও জেতার জন্য নামবে। কিন্তু পারছে না, সেটা কোনো কারণে পারেনি। আমি একজন দর্শক হিসেবে বলব, আমার প্রত্যাশা অত উপরে নেই। প্রত্যেকটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল লড়ুক, এটাই চাই। লড়াইয়ের পর যদি জিততে পারি আমার-আপনার কথায় কিছু আসবে যাবে না। তারা তখন এমনিই সাফল্যের রাস্তা তৈরি করে ফেলতে পারবে। তখন আত্মবিশ্বাস চলে আসবে এবং খারাপ সময় থেকে বের হতে পারবে।’
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ব্যাটসম্যান-বোলাররা হতাশ করলেও আশা ছাড়ছেন না মাশরাফী। তিনি বিশ্বাস করেন অসাধারণ পারফরম্যান্স করার মতো খেলোয়াড় বর্তমান দলে আছেন, ‘এই টিমের সামর্থ্য আছে ভাল কিছু করার। ব্যতিক্রম ইনিংস খেলার সক্ষমতা আছে। অন্যরকম বোলিং করারও ক্ষমতা আছে বোলারদের। রুবেল, মোস্তাফিজ, তাসকিন আগে-পরে করে দেখিয়েছে।’
টি-টুয়েন্টি থেকে মাশরাফী অবসর নেয়ায় অধিনায়কত্ব পান সাকিব আল হাসান। যদিও তাকে মাঠে ফিরতে দেয়নি ইনজুরি। আঙুলের চোট বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ভোগাচ্ছে। যে কারণে নিধাস ট্রফি খেলা হচ্ছে না। তবে দলকে উজ্জীবিত করতে নিয়মিত অধিনায়ক ছুটে গেছেন কলম্বোয়। সাকিবের অনুপস্থিতি পূরণ করা যে কঠিন সেটিই বললেন মাশরাফী, ‘সাকিব নাই মানে দুজন মাইনাস। দুজন খুঁজতে হবে। খুব ভালো ব্যাটসম্যান, আবার খুব ভালো বোলার হতে হবে। সাকিবের অভাব রাতারাতি কেন; আদৌ কবে পূরণ হবে বলা মুশকিল।’