দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও ট্রেন যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। শনিবার নতুন চালু হওয়া সোনার বাংলা ট্রেনের উদ্বোধন শেষে একথা
বলেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় দেশের প্রত্যন্ত
অঞ্চলেও একসময় যাবে রেলের সেবা। বর্তমান সরকার বুলেট ট্রেন ও পাতাল রেলও চালু করতে পারবে, সেদিন বেশি দূরে নয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, দেশের ক্ষতি হয়, দাতাদের কাছ থেকে এমন কোনো পরামর্শ সরকার গ্রহণ করে না।
খিলগাঁও ফ্লাইওভার দিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি ট্রেন উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে উদ্বোধন করেন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নতুন লুপ। সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা দেবে।
দীর্ঘ
এক যুগ পর বাংলাদেশ রেলওয়ে বহরে যুক্ত হয় নতুন ট্রেন
সোনার বাংলা। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। আগামীকাল রোববার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা
রুটে বিরতিহীনভাবে চলাচল করবে ট্রেনটি।
আধুনিক সুবিধার এই ট্রেনের কোচগুলো আমদানী করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়া
থেকে। একই দিনে ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ভারত থেকে আমদানী করা নতুন কোচ ধুমকেতু ট্রেনটি পরিচালনা করবে রেলওয়ে।
যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঢাকার
কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। একইদিনে বিকেল
৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকা এসে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। প্রতি শনিবার বন্ধ
থাকবে ট্রেনটি।
আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নতুন
ট্রেনটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৪৬ জন। ১৬ কোচের ট্রেনটিতে তপানুকুল (এসি) চেয়ার সংখ্যা ২২০টি। এছাড়া এসি কেবিন আসন সংখ্যা ৬৬টি। ট্রেনটিতে শোভন চেয়ারের সংখ্যা
রয়েছে ৪২০টি। এছাড়া দুটি খাবার গাড়িতে মোট ৪০টি শোভন চেয়ার রয়েছে। যা প্রয়োজনে
যাত্রী পরিবহনেও ব্যবহার করা হতে পারে।
২০১৭
সালে দেশের সকল প্রধান প্রধান ট্রেন রুটে নতুন করে ট্রেন দেওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী
রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।