প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করেছিলাম। চিকিৎসা সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার মান বিবেচনা করে মানসম্মত রেখে সেভাবে তৈরি করতে হবে’।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ ও জাতীয় পুষ্টি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসা সেবার প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে। পাশাপাশি বিশেষায়িত নার্স এর ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। এর জন্য বিশেষায়িত ট্রেনিং করানোর ব্যবস্থা করেছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি ওষুধের পাশাপাশি দেশজ ওষুধের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। ভেষজ জিনিসের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে আয়ুর্বেদ, ইউনানি এবং ভেষজ চিকিৎসা সেবার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের গড় আয়ু বাড়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাতৃমৃত্যু হার কমাতে পেরেছি। একটি শিশুও না খেয়ে থাকে না। চিকিৎসা সেবায় আমরা কমিউনিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা নিয়ে এসেছি, আমরা ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি, মাতৃকালীন ভাতা দিচ্ছি।
চিকিৎসাখাতে ডিজিটাল সুবিধার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা অনলাইনে স্বাস্থ্য বাতায়ন তৈরি করেছি, ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। হঠাৎ কিডনি, ক্যান্সার দেখা দিচ্ছে। তাই লাইফস্টাইলে সচেতনা দরকার। শুধু রাজধানী না সমগ্র বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছি।
অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের সেবা দানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে প্রতিবন্ধী পরিবারকে আর্থিক ভাতা দিচ্ছি। অটিজম ব্যপারে সচেতনতার জন্য তাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করছি।
এবারের সেবা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।’ স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহের কার্যক্রম আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।