যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পর দুঃখ প্রকাশ না করায় প্রতিশোধ হিসেবে কোনো সামরিক পথে না হেঁটে তুরস্কের অর্থনীতিতে আঘাত করতে চায় রাশিয়া। হামলার দায়ে তুরস্ককে নানাভাবে নিষিদ্ধ করারও পরিকল্পনা করছে দেশটি।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। দু’দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার খসড়া তৈরি হয়ে যাবে জানিয়েছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ও খাবারসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ সীমিত হয়ে যাবে। পর্যটন, পরিবহন, বাণিজ্য থেকে শুরু করে মানবিক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তুরস্কের গোলার আঘাতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় রাশিয়া যে কঠোর পথে এগুবে তা অনুমিত ছিল। অবস্থা বুঝে দুঃখ প্রকাশ না করলেও কিছুটা সুর নরম করে তুরস্ক জানায়, ভূপাতিত করার আগে তারা জানতো যে ওই বিমান রাশিয়ার।
কিন্তু রাশিয়ার অভিযোগ, বিমানে গোলা ছোঁড়া তুরস্কের পরিকল্পিত উস্কানি এবং তারা জানতো এই বিমান রাশিয়ারই।
ঘটনার জেরে তুরস্কের ওপর ব্যাপক পরিসরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিলো রুশরা।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে জানিয়েছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী।
ওই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, তুরস্কের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুনভাবে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী দুদিনের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞার খসড়া তৈরি হয়ে যাবে।
তুরস্কের সঙ্গে আগেই সামরিক সম্পর্ক বাতিল করেছে রাশিয়া। কোনো রকম দুঃখ প্রকাশ না করায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দুদেশের সম্পর্ক ‘খাদের কিনারায়’ ঠেলে দিয়েছে তুরস্ক।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথাও বলেছেন তিনি। তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অর্থনৈতিক অবরোধের কথা জানিয়েছেন রুশ কৃষি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রুশ যুদ্ধ বিমান এসইউ-২৪ ভূপাতিত করে তুর্কি বিমান বাহিনী। বিমানটি নামানোর আগেই তাকে সতর্ক করা হয়েছিলো বলে দাবি করেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী।
মস্কো বলছে, সিরিয়া অভিযানে নিয়োজিত থাকাকালে বিমানটিকে কোনো সতর্ক সঙ্কেত দেওয়া ছাড়াই ভূপাতিত করা হয়।