পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ে ডিআইজি মিজানের তদন্ত প্রতিবেদন পৌছানোর পর সেই প্রতিবেদন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গত সোমবার আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অসদাচারণ মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
জোর করে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান।
জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তে কমিটিও গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর। অতিরিক্ত আইজিপি মাইনুর রহমান চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরাইশীর নেতৃত্বে গঠিত হয় সেই কমিটি।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মরিয়ম আক্তার ইকো নামের ২৫ বছর বয়সী এক তরুণীকে জোর বাসা তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাজধানীর তিনশ’ ফুট এলাকায় নিয়ে মারধরের পর চোখ বেঁধে মিজানের বেইলি রোডের ফ্ল্যাটে তিন দিন আটকে রাখার পর তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করতে বাধ্য করে।
বিয়ের পর মরিয়মকে নিয়ে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে চার মাস সংসারও করেন। পরবর্তীতে ফেসবুকে স্বামী পরিচয় দিয়ে স্ত্রী মরিয়ম আক্তার ইকো ডিআইজি মিজানের ছবি আপলোড করায় সে ক্ষিপ্ত হয়।
এমনকি থানায় নিজের প্রভাব বিস্তার করে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে স্ত্রী মরিয়মকে কারাগারে পাঠান মিজান। ২১ দিন কারাভোগের পর গত ১ জানুয়ারি মরিয়ম কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান।
এই ঘটনার পর মরিয়ম ছাড়াও মিজান আরো অনেক তরুণীকে ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বনাশ করেছেন বলে খবর প্রকাশ পায়।