কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার তনু,পর পর টাঙ্গাইলে কয়েকটি ধষর্ণের ঘটনার পর গত শুক্রবার মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের বিবেকে কতটুকু নাড়া দিয়েছে? পাশবিক ঘটনাগুলো বার বার ফিরে অাসলেও অপরাধীরা বিচারের আত্ততায় আসে না।
সেই সব ঘটনার তীব্র ঘৃণা উদ্বেগ জানিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা ও প্রবাসী গবেষক মঞ্জুর এ খোদা টরিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন:
প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায়, পুরুষ হিসেবে আমি লজ্জিত হই। ভাই হিসেবে লজ্জিত হই। সন্তান হিসেবে লজ্জিত হই। বাবা হিসেবে লজ্জিত হই। স্বামী হিসেবে লজ্জিত হই। নিজের অক্ষমতায় লজ্জিত হই!
যদি বিষয়টা এমন হতো কোন কারণে/ঘটনায় বাসের ড্রাইভার বা হেলপার খুন হয়েছে! তাহলে কি হতো? পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ থেকে রাস্তা আটকে রেখে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হতো, যতক্ষন পর্যন্ত না দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়..!
কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের দ্বারা একজন নারীকে গণধর্ষণ করা হলো, ঘাড় মটকে খুন করা হলো তখন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি বা টুশব্দও নেই!
বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর প্রধান কাজ তাদের স্বার্থ-সুবিধার কথা বলা আর কোন অপকর্ম করলে/হলে সেখান থেকে বাঁচার জন্য জনগণকে জিম্মি করে আন্দোলন করা! প্রয়োজনে হাসপাতালে চিকিৎসারত মূমূর্ষূকে রুগীকে জিম্মি করে, হত্যা করে হলেও- তা করতে হবে!
রুপাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাই পরিবহন শ্রমিক ও তাদের সংগঠন লজ্জিত হয় না..!
তণু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তাই কোন সেনা সদস্য ও সেনাবাহিনী লজ্জিত হয় না..!
নার্স-রুগী ধর্ষিত হলে ডাক্তারদের সংগঠন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন তাই লজ্জিত হয় না!
আপনারা শুনেছেন কখনো কোন পরিবহন নেতা ও শ্রমিকের কোন অপরাধের কারণে তাদের পক্ষ থেকে শাস্তি দেয়া হয়েছে? শুনেছেন কখনো কোন অপকর্মের দায়ে বিএমএ কোন ডাক্তারের সনদ বাতিলের সুপারিশ করেছে? অন্য কোন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান কি এমন কিছু করেছে, শুনেছেন..?
কিন্তু কোন ছাত্রসংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর দ্বারা অপকর্ম হলে তখন সবাই চিৎকার করে বলেন, সব গেল, সব গেল বলে.., কিন্তু এখানে নিরব কেন..?