চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রতিটি ঘরে এখনো বইছে মোদি হাওয়া: নরেন্দ্র মোদি

২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো এখনো দেশের প্রতিটি ঘরে মোদি হাওয়া বইছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্যপ্রদেশের রতলামে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে মঙ্গলবার এ নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করেন তিনি।

গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। বিরোধীরা তো বটেই, মোদি হাওয়ার অস্তিত্ব নিয়ে বিজেপির ভিতর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এবারের ভোটের আগে বিরোধী দলগুলো সেই প্রচারকে আরও তীব্র করে দিয়েছে বলে জানায় আনন্দবাজার।

আজ এরই জবাব দিলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘পণ্ডিতেরা দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচনে নাকি কোনো হাওয়া নেই। দিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের গালগল্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমে এদের অনেকে বলছিলেন, কোনো হাওয়া নেই। তবে এবার ভোট পড়েছে গতবারের চেয়ে বেশি। সেটাই তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’

মোদি বলেন, ‘ওরা জানেন না, দুই ধরনের ভোটার এবার রেকর্ড গড়ছেন। যুবসমাজের বন্ধুরা, যারা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন। আর মা-বোনেরা, যারা তাদের ভাইকে জেতাবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছেন। কারণ তাদের ভাই ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নারী ভোটাররা তাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। কারণ রান্নার গ্যাস আর বিদ্যুতের সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছেন তিনিই।

মোদি বলেছেন, ‘যখন মা-বোনেরা বাইরে বেরিয়ে আসেন, তখনও পণ্ডিতেরা বুঝতে পারেন না, ঢেউ কোথা থেকে আসছে। আসলে (বিজেপির পক্ষে) ঢেউ আসছে এখন প্রতিটি বাড়ি থেকেই।’

রাজীব গান্ধীর বন্ধু স্যাম পিত্রোদার সাম্প্রতিক ‘হুয়া তো হুয়া’ (যা হয়েছে হয়েছে) মন্তব্য নিয়ে মঙ্গলবারের ভাষণে কংগ্রেস তথা গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার দাবি, ‘হুয়া তো হুয়া’ শুধু একগুচ্ছ শব্দ নয়, এটি কংগ্রেসের আদর্শ আর ঔদ্ধত্যের প্রকাশ। ‘হুয়া তো হুয়া’ দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসের জবাব।

মোদি বলেন, ‘মহাভেজাল লোকেরা বলছেন এ সব কথা। আর মানুষ এখন মহাভেজাল লোকেদের বলছেন, বহুত হুয়া (অনেক হয়েছে)।’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা, কমনওয়েলথ দুর্নীতি, কয়লা ও টু-জি কেলেঙ্কারির ঘটনা রাহুল গান্ধীর দল ক্ষমতায় থাকার সময় হয়েছে। আর তারাই এখন বলছেন, হুয়া তো হুয়া।

মধ্যপ্রদেশের রতলামের বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ধর্মেন্দ্র সিংহ চৌহান রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুনের সঙ্গে লড়াই করে জীবন দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, ‘একদিকে এমন ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে নামদারের পরিবার নৌবাহিনীর রণতরীকে বনভোজনের কাজে লাগিয়েছেন। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন তোলা হলো, বলা হলো, হুয়া তো হুয়া। জঙ্গি ও মাওবাদীদের সঙ্গে লড়তে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা প্রাণ দিচ্ছেন। ওরা বলছেন, হুয়া তো হুয়া।’

কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে লক্ষ্য করেও কথার তীর ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, কৃষকদের ঋণ মওকুফের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। ‘ভগবানকেও ধোঁকা দিয়েছে কংগ্রেস।’

ভোপালের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং তার নিজের এলাকায় ভোট দিতে যাননি। মোদির দাবি, কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ভোট দেননি দিগ্বিজয়। ‘এটা দিগ্বিজয় সিংয়ের ঔদ্ধত্যের প্রকাশ। যখন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, দেশের নাগরিকরা ভোট দিচ্ছেন, তখন দিগ্বিজয় ভোট দিলেন না। কারণ, তিনি ভয় পেয়েছেন,’ বলেন তিনি।