চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রকৃতির মাঝেই হারিয়ে গেলো চবির দুই শিক্ষার্থী

পরীক্ষা শেষ, বন্ধুদের নিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন পাভেল এবং আসাদুজ্জামান রিফাত। ৫ সহপাঠীকে সঙ্গী করে রওনা হয়েছিলো ক্যাম্পসের পাশেই থাকা রহস্য ঘেরা ঝর্ণার দেখতে। কিন্তু এই যে হবে তাদের শেষ যাত্র তা কে জানতো!

ঝর্ণার কিছু আগে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে সাইনবোর্ডে ঝুলছে, ‘বিপজ্জনক ওই ঝর্ণায় যাওয়া নিষেধ’। চবি’র মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের মিডটার্মের শেষ পর দিন, পাভেল ও রিফাত পরিল্পনা করল হাতের একেবারে নাগালের মধ্যে থাকা ক্যাম্পাসের ঝর্ণায় বেড়াতে যাওয়ার।

মনের আনন্দে ঝর্ণার পানিতে নেমেছিলো। কিন্তু আর ওঠা হলো না। ঝর্ণার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সহপাঠিদের চোখের সামনেই লাশ হয়ে ভাসতে হলো। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই যেন করার ছিল না তাদের। মুহূর্তেই আনন্দ পরিণত হল বিষাদে।

যাওয়ার পথে নিরাপত্তা রক্ষীদের বারণ উপেক্ষা করে বরণ করে নিলে মৃত্যুকে। পাহাড়ি ঝর্ণা বোধ মৃত্যুর হাতছানি দিয়েই ডাকছিলো তাদের!

সিটিজিনিউজ. কমের সূত্রে জানা যায়, বিকেলে ঝর্ণার পাড়ে গল্প করতে করতে একসময় সবাই হুড়মুড় করে নেমে পড়ল ঝর্ণার পানিতে । গোসলের পর পানি থেকে উঠার সময় একসঙ্গে পাঁচ বন্ধু হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যায় নিচে। যেখানে ঝর্ণার পানি পড়তে পড়তে সৃষ্টি হয়েছে গভীর গর্ত। তিন বন্ধু কোনো রকমে পানি থেকে উঠে আসতে পারলেও উঠতে পারলেন না নাঈমুল আর রিফাত। বাচাঁর জন্য একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে ডুবে গেলেন দু’জনই।

সহপাঠীদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে থাকা অনেক শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যরা। স্থানীয়রা নেমে কিছুক্ষণ খুঁজলেও পেল না দু’জনের কাউকেই। খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে।

ফায়ার সার্ভিসের দু’টি টিম চারটার দিকে পানিতে নেমে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা পর দুজনের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু ততক্ষণে কারও দেহেই প্রাণ নেই।