গতবছর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলোতে ছিল ‘প্যারাসাইট’র জয়জয়কার। অস্কারে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিয়ে কোরিয়ান ভাষার এই ছবিটি ইতিহাস গড়েছিল। এবছর আলোচনায় আছে কোরিয়ান ভাষার আরেক ছবি ‘মিনারি।’
১৯৮০ সালের এক অভিবাসী পরিবারকে নিয়ে ‘মিনারি’ ছবির কাহিনী। জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসার একটি ফার্মে কাজ করা শুরু করে। ‘প্যারাসাইট’-এর মতোই এই ছবির শুটিং এবং প্রযোজনা যুক্তরাষ্ট্রেই করা হয়েছে।
প্যারাসাইট ছবিতে চিত্রিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোল শহরের দুটি পরিবারের জীবন। একটি পরিবার দরিদ্র, তারা থাকে একটি ভবনের বেসমেন্ট বা মাটির নিচের ফ্ল্যাটে- আর অন্যটি একটি ধনী পরিবার, যারা থাকেন বিলাসবহুল বাড়িতে। ডার্ক স্যাটায়ারের আড়ালে তুলে ধরা হয়েছে সমাজের ভেদাভেদ।
‘মিনারি’ নির্মাতা লি আইস্যাক চাং বলেন, “কোরিয়ান ভাষায় কথা বলেন এমন এক পরিবার দেখানো হয়েছে যারা কোরিয়ার সংস্কৃতিতে চলেন। কিন্তু আমার মনে হয় এই ছবি আমেরিকা নিয়েও কথা বলে। অনেক মানুষের নানা ধরনের কাজ, জীবনের নানা রকম পথচলা নিয়ে কথা বলা হয়েছে ছবিতে। ‘প্যারাসাইট’ থেকে আলাদা এই ছবি।”
লি আইস্যাক চাং নিজেও বেড়ে উঠেছেন আরকানসায়। তাই নিজের জীবনও কিছুটা ফুটিয়ে তুলেছেন ছবিতে। ‘প্যারাসাইট’ এর মতো কোনো স্যাটায়ার নেই ছবিতে। বর্ণবৈষম্যও দেখানো হয়নি।
‘মিনারি’ ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন জিতে নিয়েছে। তার মাঝে গোল্ডেন গ্লোব অন্যতম। অস্কারের চূড়ান্ত মনোনয়ন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অস্কারের মনোনয়নেও থাকবে ‘মিনারি।’
মিনারি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের হলগুলোতে চলছে। মার্চে মুক্তি পাবে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সিএনএ লাইফস্টাইল