পৌরসভা নির্বাচনের বিধি বিধান হয়ে গেলেও বিধি পরিবর্তন করে এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সুযোগের দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগ। আবার আইনি সুযোগ না থাকার পরও ১৫ দিন নির্বাচন পেছানোর দাবি বিএনপির। ইসি বলছে, লিখিত আবেদন করলে সবার দাবি নিয়ে আলোচনায় বসবে নির্বাচন কমিশন।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে দল থেকে প্রত্যয়নপত্র লাগবে। প্রত্যয়নপত্রে কে সই করবেন, নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যে তা নির্বাচন কমিশনকে জানানোর কথা। সে অনুযায়ী দুপুরের পর থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনে আসতে থাকেন। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে এসে অভিযোগ করে, তাদের আসার খবর পেয়েও উপযুক্ত সম্মান দেয়নি নির্বাচন কমিশন। পরে তারা জানান, অতিরিক্ত সচিবকে না পেয়ে উপসচিবের হাতে দিয়েছেন দলের চিঠি।
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে পৌরসভা মেয়র পদে প্রাথী মনোনয়ন প্রত্যায়ন প্রদানের জন্য দলের যুগ্ম মহাসচিব শাহাজাহাকে দলের চেয়ারপার্সন দায়িত্ব দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হলে তারা আমাদেরও বক্তব্য আমলে নিয়ে সেটা পিছিয়ে একটা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষেও চিঠি আসে নির্বাচন কমিশনে। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা সম্বন্বয় কমিটির সদস্য এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউসার বলেন, আওয়ামীলীগের পক্ষে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষরে মনোনয়ন প্রদান করা হবে।
ইসি বলছে, নির্বাচন পেছানো এবং এমপিদের প্রচারণায় যাবার বিষয়টি কতখানি বাস্তবায়নযোগ্য সেটি আলোচনা সাপেক্ষ। নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে.(অব:) জাবেদ আলী বলেন, যারা এ সব আলোচনা করবেন ওনারাও সবকিছু জানেন। ওনারা আইনও জানেন এবং সমস্যাও জানেন। তারপরও যদি ওনারা আমাদের কাছে আসেন, এখন শোনা যাচ্ছে যে কেউ কেউ আবেদন করবে।
তিনি আরো বলেন, আবেদন আমাদের কাছে আসে নাই। আসলে বলবো।
আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মেয়র পদে প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্রে দলীয় প্রধানরা সই করলেও বিএনপি থেকে এ দায়িত্ব পেয়েছেন যুগ্মমহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান।