পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো নির্মাণের পরও গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছেনা ২৩৩টি তৈরি পোশাক কারখানা। চট্টগ্রামে তিনদিনের অ্যাপারেল ও সেফটি প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে বিজিএমইএ এরকম অভিযোগ এনে দাবি করেছে, মাত্র এক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে দেশে ২৫৬ ধরণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এমন সম্ভাবনায় সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি টার্গেট পূরণে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য চট্টগ্রামে বিশেষ এলাকা বরাদ্দের আশ্বাসও দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
দেশে গার্মেন্টস শিল্পের সূতিকাগার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো অ্যাপারেল ও সেফটি এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম। নগরীর পাঁচতারা হোটেলে তিনদিনের মেলার উদ্বোধনী ছিলো আলো ঝলমলে।
উদ্বোধনীতে জানানো হয়, প্রাকৃতিকভাবে চট্টগ্রাম তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সুবিধাজনক হলেও গত ৪০ বছরে এ খাতে রপ্তানিতে চট্টগ্রামের অবদান ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ১১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এজন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটকে দায়ী করে বিজিএমইএ।
তবে তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের অধিকার প্রদানে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিদেশী রাষ্ট্রদূত ও বায়ারদের পরামর্শের পাশাপাশি কাপড়ের রপ্তানি মুল্য বাড়ানোর আহ্বান জানান। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট সমাধানে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, গার্মেন্টস খাতের জন্য বাউশিয়ার মতো চট্টগ্রামে বিশেষ অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিন দিনের প্রদর্শনীতে দেশি বিদেশি ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০টির মতো স্টল বসেছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি উদ্যোক্তা, বায়ার, বিশেষজ্ঞরা ৪টি সেমিনারের দেশের আগামী দিনের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে আলোচনা করবেন।