চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পোশাক শিল্পকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত হিসেবে বিবেচনা করুন

পোশাক শিল্পকে করের খাত হিসেবে না দেখে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত হিসেবে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সংগঠন বিজিএমইএ।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এই অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক খাতের করপোরেট কর কমানো হয়েছে। কিন্তু যে খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হচ্ছে সেই পোশাক খাতের করপোরেট কর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবেন। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, পোশাকশিল্পে করপোরেট করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন।

টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদন খাতে গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, বাজেট প্রস্তাবনায় কর্পোরেট কর হার ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং সবুজ শিল্পের জন্য ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের অনুরোধ ছিলো কর্পোরেট করহার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারনের জন্য। কিন্তু না কমিয়ে উল্টো বাড়ানোর ফলে এ খাতের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবেন। তাই কর্পোরেট করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণের বিষয়টি পূনর্বিবেচনার অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পোশাক রপ্তানির উপর উৎসে কর আগামী ৩ বছরের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বাজেটে সুষ্পষ্ট দিক-নির্দেশনা না থাকায় বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩ (বিবি) ধারায় রপ্তানির উৎস কর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ শতাংশ হারে নির্ধারিত হয়েছে। প্রতি বছরই বাজেট ঘোষণায় উৎসে কর ১ শতাংশ হারে নির্ধারন করা হলেও পরে আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে আলোচনা করে তা কমিয়ে আনতে হয়।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে উৎসে কর কাটা হচ্ছে। সেই সাথে একই রপ্তানি এলসির বিপরীতে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের যেমন সুতা, কাপড়, এক্সেসরিজ সরবরাহকারীদের থেকেও একই হারে উৎসে কর কর্তন করা হচ্ছে। এটি কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানী সংশ্লিষ্ট স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত সব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকূফসহ রিটার্ন দাখিল করা হতে অব্যাহতি প্রদান এবং বিগত ৫/৬ বছরের যে ভ্যাট দাবি করা হচ্ছে, তাও মওকূফ করার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে কোন দিক-নির্দেশনা দেখা যায়নি।

আবার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির উপর প্রদত্ত মূসক প্রত্যর্পনের ক্ষেত্রে জটিলতা দূরীকরনের লক্ষ্যে ১০০ শতাংশ মূসক অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাবও রেখেছিলাম। কিন্তু সে ব্যাপারেও কোন নির্দেশনা নেই। সরকারের সহযোগিতা এবং সহানুভূতি পেয়েই এই শিল্পটি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে। এ দুঃসময়ে পোশাক শিল্পকে আপদকালীন সহায়তা করবে বলে প্রত্যাশা করেন এই ব্যবসায়ী।