বরাবরের মত এবারও পোশাকের উপর ভর করে বেড়েছে রপ্তানি আয়। বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
তবে এই সময় রপ্তানি আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে রপ্তানি কম হয়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে যে পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে, তার মধ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য। এ খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৩ হাজার ১৬ কোটি ডলার। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৮১৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।
পোশাক ছাড়াও পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়নি।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ সময় আয় এসেছে ৮৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। সার্বিক রপ্তানি আয় বাড়লেও তা মূলত পোশাক খাতনির্ভর। পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রতি সরকারের বিশেষ নজরদারির কারণে এ খাতে গত বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তবে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় এসেছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ধস নেমেছে। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম হয়েছে ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। আয় হয়েছে ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
এছাড়া গেল বছর প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম।
কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।