চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পোশাকে ভর করে বেড়েছে রপ্তানি আয়

তৈরি পোশাকে ভর করে বেড়েছে রপ্তানি আয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৮২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। কিন্তু এই সময়ে আয় হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি বেশি হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে।

এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৩১ কোটি ৪৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।

মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৫৮ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার। এই বছরের জুলাই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ১০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়া পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ লাখ ডলারের চামড়া, ২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের চামড়াপণ্য ও ৭ কোটি ২৩ লাখ ডলারের চামড়ার জুতা রপ্তানি হয়েছে। সব মিলিয়ে চামড়া ও চামড়াপণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে চামড়ার রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

চামড়া ও চামড়াপণ্যের পাশাপাশি পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের পাট ও পাটপণ্য। তার মধ্যে ৬৫ লাখ ডলারের কাঁচা পাট, ৫ কোটি ডলারের পাটের সুতা ও ৮৩ লাখ ডলারের পাটের বস্তা রপ্তানি হয়েছে। সব মিলিয়ে পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৪শ কোটি ডলার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার ও সেবা রপ্তানিতে ৮৫০ কোটি ডলার। এ ছাড়া পণ্যে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ আর সেবায় ৩৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪শ কোটি ডলার। সে হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলার বেশি ধরা হয়েছে। ওই অর্থবছর রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।