অষ্টম পে স্কেলে প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে সিলেকশন গ্রেড বহালসহ চাকরির ৫ বছর পূর্তিতে সিনিয়র স্কেল, ১০ বছরে উচ্চতর স্কেল এবং সমস্ত চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি স্কেল পরিবর্তনের সুযোগ রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ (বাসসকপ)।
ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদ্যমান বেতনসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করতে ৫ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে সংগঠনটি। এসব দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছে তারা।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে হাইকোর্ট হয়ে শিশু পার্ক পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে; (১) আগের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল প্রথা ফিরিয়ে আনা, (২) ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতো ননক্যাডার কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতি নিশ্চিত করা, (৩) ১ম শ্রেণির চাকরি পাঁচ বছর হলে সিনিয়র স্কেল; ১০ বছর হলে উচ্চতর স্কেলসহ পুরো চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ রাখা, ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের আগের বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান ৩টি টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ সমগ্র চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ; (৪) ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতো সকল সুযোগ-সুবিধা ননক্যাডার কর্মকর্তাদের একই সুযোগ দেওয়া, এবং (৫) ট্রেজারি রুলস ভঙ্গ করে উপজেলা পর্যায়ে ১৬টি বিভাগকে ইউএনও’র অধীনে আনার সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
মানববন্ধন শেষে সংগঠনের সভাপতি মো. শফিউল আজম বলেন, একই যোগ্যতা এবং পিএসসির মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশ করেও শুধুমাত্র ননক্যাডার হওয়ার অপরাধে তারা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
মহাসচিব মো. জিন্নাত আলী বিশ্বাস বলেন, অষ্টম পে স্কেলের মাধ্যমে ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও সুস্পষ্ট এবং প্রকট করা হয়েছে। ফলে এ সংগঠনের অধীন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ কর্মকর্তা চরম হতাশায় নিমজ্জিত। এ ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষপে কামনা করছি।