অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টি সিরিজে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে চূর্ণ করে টাইগাররা পেয়েছে রেকর্ড গড়া জয়। পাঁচ ম্যাচের ঐতিহাসিক সিরিজ শেষ করেছে ৪-১ ব্যবধানে।
সিরিজ শুরুর আগে অজিদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে কোনো জয় ছিল বাংলাদেশের। দুই দলের ৯ দেখায় এখন টাইগারদের জয় চারটিতে। অনেক প্রাপ্তির সিরিজে বাংলাদেশের বোলাররা দেখিয়েছেন অসাধারণ দক্ষতা।
বাংলাদেশ স্পিনে চ্যালেঞ্জ জানাবে সেটি অনুমেয় ছিল সবারই। কিন্তু টাইগার পেসাররাও এতটা দাপট দেখাবে, হয়ত কেউ ভাবতে পারেনি! অভাবিত কাজটিই করে দেখিয়েছেন মোস্তাফিজ-শরিফুল-সাইফউদ্দিনরা।
প্রতি ম্যাচে একাদশে দুজন করে পেসার খেললেও অবদান রেখেছেন প্রায় স্পিনারদের সমান। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার যে ৩৭ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ, তার ১৭টি নিয়েছেন তিন পেসার মিলে।
শেষ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। সব ম্যাচ খেলা মোস্তাফিজের শিকার ৭ উইকেট। এক ম্যাচ কম খেলা শরিফুলের উইকেটও ৭টি।
২০ উইকেট নিয়েছেন তিন স্পিনার- নাসুম, সাকিব, মেহেদী, মাহমুদউল্লাহ মিলে।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিরিজ সেরা হওয়া সাকিব আল হাসান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফল অভিযান শেষে পেসারদের প্রশংসায় ভাসালেন। বললেন, ‘স্পিনিং কন্ডিশনে স্পিনাররা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু অসাধারণ ছিল পেসাররা।’
‘মোস্তাফিজ, শরিফুলের পর সাউফউদ্দিনও দারুণ বোলিং করেছে। জিম্বাবুয়ে সফরে তাসকিন দুর্দান্ত ছিল। পেসারদের উন্নতি দারুণ চোখে পড়ছে। আমার মনে হয় পেসাররা ভালো করায় আমাদের কাজটা সহজ হয়ে গেছে। বোলিং দুর্দান্ত হয়েছে আমাদের।’
সিরিজ শেষে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও পেসারদের উন্নতির কথা বলেছেন আলাদা করে। পেস-স্পিনের অসাধারণ সমন্বয় এনে দিয়েছে স্মরণীয় সাফল্য।