বলা হচ্ছে ইডেনে দিবা-রাত্রির টেস্টে ছড়ি ঘোরাবেন পেসাররা। স্পিনারদের জন্য তেমন সুবিধা নেই, কারণ যা দিয়ে খেলা হবে সেই গোলাপি বল পুরনো হলে অতটা ঘুরবে না। তেমন হলে স্পিনারদেরও করার বিশেষ কিছু থাকবে না! কথাটা মানলেও আমলে নিচ্ছেন না ড্যানিয়েল ভেট্টরি। বাংলাদেশের স্পিন পরামর্শকের দাবি, স্পিনারদের কাজে লাগাতে পারলে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন তারাও।
‘যদি ঠিক বলে থাকি তাহলে হয়তো স্পিনাররা গোলাপি বলে তেমন সুবিধা করতে পারবে না। পেসাররাই ফায়দা তুলবে। তবে মনে করি, যেকোনো ম্যাচেই স্পিনাররা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তারা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ ইডেনে প্রথম অনুশীলন শেষে এমনই বললেন ভেট্টরি।
‘দিনের প্রথম দুই সেশনে স্পিনাররা খুব কাজে দেবে। যেকোনো টেস্ট ম্যাচেই স্পিনারদের কোনো না কোনো কাজে লাগেই। এসজি বলের শুরুতে স্পিনাররা ভালো শুরু এনে দিতে পারে। কারণ এই বলে তারা ভালোই করেছে অতীতে।’
নিজে স্পিন বল পরামর্শক হলেও পেসারদের নিয়ে কথা বলেছেন ভেট্টরি। গোলাপি বলে খেলার জন্য দলের চার পেসার মুখিয়ে আছে বলেও জানালেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক।
‘চার পেসারই বেশ রোমাঞ্চিত। বিষয়টা দারুণ। বাংলাদেশের পেসাররা সাধারণত এতটা খুশি হয় না! এসজি বল অন্য বলের থেকে আলাদা। খুব কম খেলোয়াড়েরই এই বলে খেলার অভ্যাস আছে, যাও বা আছে সেটা কুকাবুরা বলের। আমি বলবো এরমাঝেই উপভোগের উপলক্ষ খুঁজে নিতে হবে। প্রচুর জনসমাগম হবে। আমরা একটা দল হয়েই উপভোগ করার চেষ্টা করবো।’
গোলাপি বলে ব্যাটসম্যানদের কোথায় সমস্যা হতে পারে সেটা নিয়েও বলেছেন কিংবদন্তি এ সাবেক বাঁহাতি স্পিনার, ‘সাধারণত দিনের বেলায় গোলাপি বলে কোনো সমস্যা হয় না। কৃত্রিম আলোতে সমস্যা হতে পারে। এখন খুব দ্রুতই আলো পড়ে যায়। তখনই আমরা গোলাপি বলের আসল কাজটা দেখতে পারবো। আমার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে টিভিতে যতটুকু দেখা। একদম গোধূলিলগ্নে বল খানিকটা সুইং করতে পারে। আমার মনে হয় তখনই ম্যাচটা জমবে।’