চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘পেশাদার খেলোয়াড়দের একটু ছাড় দিতেই হবে’

দুর্গাপূজার সময়টা মাঠেই থাকবেন লিটন

সময়টা যখন দুর্গাপূজার উৎসবে যোগ দেয়ার, লিটন দাস তখন ব্যাটিং-কিপিং নিয়ে ব্যস্ত সূচি কাটাচ্ছেন মিরপুরে। পূজার পুরো সময়টা তাকে থাকতে হবে ক্রিকেট নিয়েই। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য নিজেদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ হাসিমুখেই বিসর্জন দিচ্ছেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

প্রতি বছর বড় পরিসরে পূজার আয়োজন হয় লিটনের জন্মস্থান দিনাজপুরের রায় সাহেব বাড়িতে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সেখানে যান লিটন। অষ্টমী ও নবমীতে ঘুরতে বের হন বাবা-মায়ের সঙ্গে। জাতীয় দলে নিজের অবস্থান যতই শক্ত হচ্ছে, সেসব নিয়মে পড়ছে ভাটা! পেশাদারিত্বের জন্যই বিষয়গুলোকে সহজভাবে নিচ্ছেন লিটন।

‘গত দুই বছর ধরে তো মাঠেই ছিলাম। এখন দেশে, দুই বছর দেশের বাইরে ছিলাম। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। পেশাদার খেলোয়াড়দের একটু ছাড় দিতেই হবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে চোটের কারণে ছিটকে গেছেন জাতীয় দলের অপরিহার্য দুই সদস্য সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। টপঅর্ডারে টাইগারদের আশার বাতি এখন লিটন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টুয়েন্টি সিরিজে দারুণ একটি ফিফটি, এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি ও জাতীয় লিগে কদিন আগেই ডাবল সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটসম্যান ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান জিম্বাবুয়ে সিরিজেও।

‘আমার মূল লক্ষ্য এটাই। আমার মনে হয় যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি, তখন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে থাকি। ওই জিনিসটাই ঘাটতি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। চেষ্টা করছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাওয়ার।’

ধারাবাহিকভাবে রান করায় প্রত্যাশার চাপও থাকবে। সেটি সমর্থক থেকে শুরু করে সতীর্থ পর্যন্ত। বিষয়টা উপলব্ধি করছেন লিটন।

‘এটা তো অবশ্যই। কিছু পেতে হলে তো কিছু দিতেও হবে। আমিও জানি যে আমাকে রান করতে হবে। দলের সদস্যরাও চাইবে, যেহেতু আমি ভালো খেলেছি সেটা যেন ধরে রাখি। এটা দুই দিক দিয়েই থাকবে।’