রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাটে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও নাশকতাকারী জামায়াত শিবির ক্যাডারদের সনাক্ত করেছে পুলিশ। সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে জোরালো সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি।
রাতের আধারে রংপুরের মিঠাপুকুরে পেট্রোল বোমা হামলায় পুড়িয়ে যাত্রী হত্যার ঘটনায় প্রথম থেকেই সন্দেহের তীর ছিলো জামায়াত শিবির ক্যাডারদের দিকে। প্রধান সন্দেহভাজন লাভলু শাহ পানিতে ডুবে মারা যায়। আটক হয় ৭০ জন। এরমধ্যে দুই জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জানায় বাকীদের নাম।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, গাইবান্ধা সদরের কাছে তুলশীঘাটে পেট্রোল বোমা হামলায় বাস যাত্রী পুড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত আটক হয়েছে ২২ জন। এদের মধ্যে সন্দেহভাজন রয়েছে ১২ জন।
প্রধান অভিযুক্ত শিবির ক্যাডার মনজিল মোরশেদ ক্রসফায়ারে মারা যাবার পর থেকে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান ডিআইজি।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম জানান, তিন মাস আগে শাসকদলের জনসভায় বোমা হামলার পর থেকে জয়পুরহাটের তিনটি ইউনিয়ন ছিলো জামায়াত শিবির ক্যাডারদের দখলে। এখানে পুলিশের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলো না।
তিনি বলেন, দিনাজপুরে ট্রাকে হামলা চালিয়ে চালক হত্যা ঘটনায় জামায়াত শিবির ক্যাডারদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
পেট্রোল বোমা হামলায় ঘটনায় এরই মধ্যে জামায়াত শিবির ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশটি দেয়ার প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।