ওমিক্রনের সংক্রমণের হার এত বেশি যে পৃথিবীর সবাই এতে সংক্রমিত হবেন বলে দাবি করেছেন ভারতীয় একজন বিশেষজ্ঞ। কোনও বুস্টার ডোজ বা ভ্যাকসিন দিয়ে সংক্রমণ এড়ানো যাবে না বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে করোনা এখন কোনো ভয়ের অসুখ না বলেও দাবি করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন আইসিএমআর এর মহামারী বিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সন জয়প্রকাশ মুলিয়িল।
জয়প্রকাশ বলেছেন, ওমিক্রনকে থামানো অসম্ভব। সকলেরই এটি হবে। গোটা পৃথিবীর ছবি দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, কোভিড মোটেই আর কোনও ভয় পাওয়ার মতো অসুখ নয়। ক্রমশ এর ক্ষমতা কমে এসেছে। এখন হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও একে সামলানো যায়। মানুষও বুঝে গিয়েছেন, কী করে এটিকে নিয়ে চলতে হবে। ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন যথেষ্টই কম ক্ষতিকারক।
যাদের বিশেষ উপসর্গ নেই, তাদের পরীক্ষা করানোরও দরকার নেই বলেও মনে করছেন জয়প্রকাশ মুলিয়িল।
জয়প্রকাশ আরও বলেন, দু’দিনে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা করে যত ক্ষণে ফল হাতে আসবে, ততক্ষণে সংক্রমিত মানুষটি আরও অনেককে কোভিড দিয়ে দিয়েছেন। তার মতে, এটিই অতিমারির বিবর্তন। এখন আর একে কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না। ওমিক্রন সকলের শরীরেই ছড়াবে। কোনও বুস্টার ডোজ দিয়েও একে আটকানো যাবে না।
কিন্তু তাহলে ভারতে সরকারি ভাবেই বুস্টার দেওয়ার কথা কেন বলা হচ্ছে? তার মতে, ৬০ বছরের উপরের যাদের কো-মর্বিডিটি আছে, যারা জটিল অসুখে ভুগছেন, দেখা গিয়েছে, তাদের অনেকের শরীরে দু’টি ডোজ ঠিক করে কাজ করছে না। তাই তাঁদের জন্যই শুধু কাজে লাগতে পারে বুস্টার ডোজ। বাকিদের প্রয়োজন নেই।
তিনি দাবি করেছেন, একবার ওমিক্রন হলে, শরীরে তার অ্যান্টিবডি থেকে যেতে পারে সারাজীবন।
তার মতে, আমাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষই কোনও দিন জানতে পারবেন না, তাদেরও এই সংক্রমণটি হয়েছিল। ফলে এটি নিয়ে আর ভয় পেয়ে লাভ নেই। শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরির দিকে সবাইকে মনোযোগী হবারও পরামর্শ দেন তিনি।