পুলিশ সদস্যদের দুর্বল করে দেওয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবেই মালিবাগে ককটেল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার গাবতলীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, উন্নত মানের শক্তিশালী ককটেল ব্যবহারের জন্য, এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে টার্গেট ছিল পুলিশ। কারণ, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মাদক এই সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ সাহসী ও পেশাদারিত্বের পরিচয় রেখেছে। এ কারণে পুলিশ সদস্যদের দুর্বল করে দেওয়ার জন্য একটি চক্রান্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে কোনো কুচক্রী মহল তাদের গোষ্ঠীগত স্বার্থ উদ্ধারে এ ধরনের হামলা করে থাকে। তবে কাছাকাছি সময়ে গুলিস্থান ও মালিবাগের দুটি ঘটনার সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ আমরা পাইনি। তবে এ বিষয়ে আমরা দৃষ্টি রেখেছি।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় টার্গেট ছিল পুলিশ। হামলায় শক্তিশালী ইমপ্রোভাইজড ককটেল ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে একই ধরনের ককটেল ব্যবহার করা হলেও মালিবাগের ঘটনার সঙ্গে গুলিস্থানের ঘটনার কোনো সর্ম্পক নেই।
এর আগে পুলিশ কমিশনার ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় বলেন, রাজধানী জুড়ে আমরা নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছি। জনগণের নিরাপত্তায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। যেকোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতিকে রুখে দেব।
পাশাপাশি ঈদযাত্রায় নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সেই পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আছাদুজ্জামান মিয়া পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কোন ক্রমেই মাদকাসক্ত চালকের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং ছাড়বেন না। কারণ, একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিচালনায় ৪০ থেকে ৫০ টি জীবন ঝুঁকিতে ঈদ যাত্রা করতে পারে না।