প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশ পুলিশ একটি জেন্ডার সংবেদনশীল সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এছাড়া পুলিশের উচ্চ পদে নারীদের আসীন হওয়ার মধ্য দিয়ে বাহিনীটিতে নারীর অবস্থান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ‘পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ৭টি ক্যাটাগরিতে দুটি প্রতিষ্ঠান এবং ২১ নারী পুলিশ সদস্য এ অ্যাওয়ার্ড পান। রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে পিএসসি কনভেনশন হলে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা পুলিশিংয়ের মত চ্যালেঞ্জিং পেশায় অনবদ্য অবদান রাখছেন। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য কাজে সাফল্য প্রদর্শন করছেন।
সমাজে নারীরা কাজের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, নারীরা প্রয়োজনে কঠোর হতে পারে, হতে পারে সংগ্রামী ও গতিশীল।
উন্নয়নের মূলধারার অংশীদার হিসেবে পুলিশের নারী সদস্যগণ পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী।
পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলে, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় প্রথম বাংলাদেশ পুলিশে ১৪ জন নারী সদস্য অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওই সময় পুলিশে নারীর যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল, তা আজ সাফল্য ও দক্ষতার মানদণ্ডে সুসংহত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, নারী পুলিশ কর্মকর্তা, উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।