অভিবাসীদের ঠেকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ এবং এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রবাসীর প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ফেসবুকে লিখেছেন কলাম লেখক শাফকাত রাব্বী।
ফেসবুকে তিনি লিখেন,
“হাজারে হাজার মানুষ, কোন নেতা ফেতার ডাকে না, স্বত:স্ফূর্ত ভাবে আমেরিকার বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ১২ ঘণ্টার বেশী দাড়িয়েছিল ৫০ জনের মতো মুসলিম রেফুজিকে ছাড়িয়ে আনতে।
সিভিল রাইটস সংস্থা এসিএলিউ মাত্র ২ দিনে ২০ মিলিওন ডলার তুলেছে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইয়েমেন সহ সাতটি দেশের মুসলিমদের ১২০ দিনের যে ব্যান ডোনাল্ড ট্রাম্প করেছে তার বিরুদ্ধে আইনী লড়াই করার জন্যে।
১০০ জন সিনেটরের মধ্যে প্রায় ৪০% এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কথা বলেছে। কেউ কেউ চুপ আছে, পক্ষে কথা বলছে মাত্র কয়েকজন।
আমেরিকার টিভি চ্যানেল গুলোর মধ্যে মাত্র একটা ছাড়া, সব কয়টা ৭ দেশের মুসলিম নিষিদ্ধ করার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
কম বয়েসী একজন মহিলা ফেডারেল জাজ পরাক্রমশালী ট্রাম্পের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছে।
যেই দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় আসতে দেবার জন্যে এতো আন্দোলন, সেই দেশ গুলোর নাম আবার বলি, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন ইত্যাদি, যাদের বিরুদ্ধে গত ১৬ বছর ধরে সন্ত্রাস, যুদ্ধ, ইত্যাদি নিয়ে দিনরাত কতো নিউজ আমেরিকানরা দেখেছে। তারপরেও এরা এখন রাস্তায় নেমেছে কারো কোন নির্দেশ বা আয়োজন ছাড়া এই দেশের রিফুজিদের নিজ দেশে আনার জন্যে।
যা দেখছেন, যেই মানুষগুলোকে রাস্তায় দেখছেন, এরাই আমেরিকা, এদের কারণেই “The best of the money, and the best of the brain” সারা দুনিয়া থেকে আমেরিকায় আসে। এদের কারনেই ইরাকি, সিরিয়ান, ইয়েমেনি, আফগানি, পাকিস্তানি, নিজ দেশে আমেরিকার পতাকা পুড়তে দেখেও, বিপদে পড়লে আমেরিকাতেই আশ্রয়ের জন্যে আবেদন করে, এমনকি যখন আমেরিকার সাথে তাদের দেশের যুদ্ধ চলে।
এই পুরো ব্যাপারটা আসলেই খুব পিকিউলিয়ার। এই পিকিউলিয়ারিটি যারা একবার নিজে চোখে দেখেছে, তাদের জন্যে একারনেই কন্সপিরিসি থিউরি পড়ে আবেগে পাগল হয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
কন্সপিরিসি থিওরিস্টদের আহবান জানাই এই হাজারে হাজার আমেরিকানের মুসলমান রিফুজিদের নিয়ে এতো আন্দোলনের পেছনে একটা কন্সপিরিসি খুঁজে বের করার জন্যে।”