শফিকুল ইসলাম:
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে সরকার দেশের সকল ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পুন: নির্মাণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী। দক্ষিণ কোরিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি ইয়াংওয়ানের অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক সরদার বাড়ির পুন:নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন তিনি।
ছয়শ বছর পুরোনো নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ বারো ভূঁইয়া ঈষা খাঁর শাসনামলে একসময় বাংলার রাজধানী । এই শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষন পানাম সিটি এবং সরদারবাড়ি। ১৯০২ সালে নির্মিত ২৭ হাজার ৪শ বর্গফুটের সরদার বাড়ির দুই পাশে শান বাঁধানো পুকুর যা মুঘল আমলের স্থাপনার অন্যতম বৈশিষ্ট।
প্রাচীণ এই বাড়িটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং দীর্ঘস্থায়ীত্বের জন্য কোরিয়ান ইয়াংওয়ান কোম্পানির পূন:নির্মান কাজ পরিদর্শনে যান ইউরোপ এবং এশিয়ার ১৬টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেস্টা ড. গওহর রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, ছয়শ বছর আগে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা যেমনটা ছিল ঠিক সেভাবেই এর পুন:স্থাপনা করার চেষ্টা করবেন তারা।আশা করি আমরা খুব ভালোভাবে এর উদ্বোধন করব। প্রধানমন্ত্রী তখন আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন।
সপরিবারে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের এমন পুরাকীর্তি দেখে মুগ্ধ।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়াং ইয়ান বলেন, আমি সরদার বাড়ির স্থাপত্যশৈলী দেখে সত্যিই মুগ্ধ। এটি মুঘল ও কোলনিয়াল স্থাপত্যের মিশ্রণ দৃষ্টান্ত। শুধু মুসলিম স্থাপনা নয়,অন্যান্য ধর্মাবলাম্বীদের স্থাপনা নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার।এমন সব স্থাপনা নিয়ে আমরা আরো বেশি কাজ করতে চাই।
প্রায় ২০ লাখ ডলারের এই প্রকল্পের দেখভাল করছেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ।
স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ জানান, এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হল শুধু এসব ঐতিহাসিক দালানগুলোর পুন:নির্মাণ নয়,এদের কারিগরদেরও উদ্ধার করা।
বাংলার বারো ভুইয়াদের স্মৃতি বহন করা এই স্থাপনা পরিদর্শন শেষে চিরায়িত বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপস্থিত সবাই।