২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪র্থবারের মত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার টিকেট পেয়ে গেলেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্য দিয়ে ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে যাচ্ছে পুতিন।
তবে তার আগে রাশিয়ার ক্ষমতায় দীর্ঘ সময় ব্যাপী থাকার নজির দেখিয়েছে আরেক নেতা জসেফ স্ট্যালিন। তিনি প্রায় ৩০ বছর শাসন করে গেছেন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
তবে চতুর্থবারের মত ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী জানার আগ্রহই বলে দেয় সে কতটা জনপ্রিয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে পাবলিক ওপেনিয়নে দেখা যায়, গুগলে পুতিনকে নিয়ে সার্চ করছে অদ্ভুত অদ্ভুত সব প্রশ্ন। আর সবার জানার আগ্রহকে মাথায় রেখেই নাকি গুগল নিজেই অটোমেটিক প্রশ্নের জবাব ঠিক করে দিয়েছে!
গুগলে প্রথম সার্চ করা প্রশ্নেই থাকে – ‘ভ্লাদিমির পুতিন’
বিবাহিত??
না পুতিন বিবাহিত না! অবাক হলেন? ৭৭ বছর বয়সী পুতিন অবিবাহিত! ঠিক এরকম না। ২০১৩ সালে জুনে ৩০ বছরের সংসার জীবন অবসান করে বিচ্ছেদ নেন স্ত্রী লিউডমিওয়া কাছ থেকে। তাই এখন সে অবিবাহিত সিঙ্গেল জীবন কাটাচ্ছেন।
তবে গুজব রয়েছে তার কাছে নাকি প্রতি রাতে নারী মডেল, ফটোগ্রাফার ও জিনম্যাস্টরা আসেন। কিন্তু এর বাস্তব ভিত্তি পাওয়া যায়নি। বাস্তবে একটি কালো ল্যাব্রাডার কুকুরই পুতিনের সঙ্গী।
ক্ষমতার খোঁচা কি বাম হাতেই দেন?
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে সে কোন হাতে লেখেন?
ছবিই বলে দিচ্ছে বিমান টি ওয়াই-১৬০ একটা মডেলে তিনি ডান হাতেই সই করছেন।
ধনী?
সিঙ্গেল থাকার খাতিরে অনেকেই তার সম্পত্তির হিসেব নিয়ে বসেন।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, অফিসিয়ালি পুতিনের বার্ষিক আয় ১১২ লাখ ডলার। তবে দুই বছর আগে বিবিসির এক জরিপে বলা হয়, পুতিন একজন দুর্নীতিবাজ নেতা। তার সম্পত্তির পরিমান এত বেশি যে হিসেব নাই!
২০০৭ সালের সিআইবি তথ্য বলে, পুতিনের অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। তবে ২০১২ সালে এই পরিমাণকে বিশ্লেষন এবং সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন অর্থের পরিমাণ ৭০ বিলিয়নের বেশি হতে পারে, যা তাকে বিশ্বের ধনী ব্যক্তি বানিয়েছে।
তিনি কি মারা গেছেন?
অনেক মানুষের ধারণা এত বছরের ক্ষমতায় থাকা পুতিন কি এখনও বেঁচে আছে?
গেল রোববার-ই তো রাশিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। মস্কো সমাবেশে তার ভাষণই বলে সে খুব ভালো মতই জীবিত আছেন এবং বেঁচে থাকলে ১০০ বছর পর্যন্ত শাসনের ইতিহাসও গড়তে পারেন তিনি।
যদি বলা হয় পুতিন কি আবার বাবা হচ্ছেন?
তাহলে বলতে হবে আবারও পুতিনকে নিয়ে গুজব শুরু হয়ে যাচ্ছে।
পুতিনের হাসি কেমন?
কেউ কি খুব যত্ন করে খেয়াল করেছেন পুতিনের হাসিটা কেমন?
পুতিনের মুখের ভঙিমা কখনই পরিবর্তন হতে খুব একটা দেখা যায় না। বরফয়াচ্ছন্ন ময়দানে বসে তার শখের সঙ্গী কুকুরকে যখন তিনি দুই হাত দিয়ে আদর করছিলেন তখনও তার মুখে ছিল সব সময়ের মতই মৃদ হাসি।
তার ছেলে?
পুতিনের দুই মেয়ে। ক্যাটরিনা আর মারিয়া। তবে তাদের বিষয়ে গণমাধ্যমে খুব একটা সংবাদ চাউর হয় না। তার বড় মেয়ে ক্যাটরিনা মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন নাচের শিক্ষক ছিলেন। আর মারিয়া নারী রোগ বিশেষজ্ঞ। তবে তাদের সম্পর্কে খুব একটা তথ্য না থাকলেও ২০১৫ সালে রয়র্টাসের এক প্রতিবেদনে আসে ক্যাটরিনা এবং তার স্বামী অনেক অর্থ সম্পদের মালিক।
পুতিন যখন ইংলিশে কথা বলে…
রাশিয়ানরা তাদের ভাষার ব্যাপারে খুব সচেতন। যেখানে সেখানেই ইংলিশ বলার খুব একটা অভ্যাস নেই তাদের।কিন্তু এটা পুতিনের বেলায় খুব হাস্যকর। কারণ সে সচারচার সহজেই ইংলিশে কথা বলে ফেলে।
পুতিন কি ট্রাম্পের মতনই?
মার্কিন মুলুকে ১৩ রাশিয়ান নাগরিককে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য বহিস্কার করা হয়েছে কিছুদিন আগেই। তাও আবার ট্রাম্পকে জিতয়ে দেওয়ার খাতির করেছে নাকি রাশিয়া।
এমন গুঞ্ছনকে মাথায় নিয়েই গুগলে প্রশ্ন করেছে অনেকে পুতিনের সাথে কি ট্রাম্পের চেহারার মিল আছে?
এটি একটি অদ্ভুত প্রশ্ন মত মনে হতে পারে, কিন্তু এখানে ইতিহাস আছে।
আংটিটা চুরি করল কে?
২০০৫ সালের দিকে নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়টস আমেরিকান ফুটবল দলের মালিক রবার্ট ক্রাফট রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাশিয়ায় এসে সেন্ট পিটার্সবার্গে ভ্রমণের সময় ক্রাফট তার ১২৪ ক্যারটের হীরার একটা আংটি পুতিনকে উপহার দেয়।
কিন্তু ঠিক আট বছর পর ২০১৩ সালে ক্রাফট দাবি করেন, সেই সময় পুতিন তার হীরার আংটি চুরি করে পকেটে ভরে ফেলেন।
তার এক সপ্তাহ পর ঠিকই পুতিন একটা হীরার আংটি দেখিয়ে বলেন, এটা ঠিক ক্রাফটের আংটির মতই মূল্যবান ।