চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১১ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল

দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের কাজ শেষ করেছে ১১টি ব্যাংক। বাকি ব্যাংকগুলোও যেন দ্রুত তহবিল গঠন করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সেই আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতারা।

বৈঠক শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই তহবিল গঠন সম্পন্ন করেছে ৮টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো; সোনালী, জনতা, রূপালী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এসআইবিএল, সিটি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।

বাকি ৩টি এই সপ্তাহের মধ্যেই এ কাজ শেষ করবে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।

বৈঠক শেষে বিএমবিএ’র সভাপতি সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কিছুদিন থেকে খুবই খারাপ সময় পার করছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার জন্য আজকের বৈঠক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। বাকিরাও যাতে দ্রুত এই তহবিল গঠন করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিবাচক। আশা করা যায় খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে বাজার।

শেয়ারবাজার টেনে তুলতে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়।

নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে ৫ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।

তবে শেয়ার বাজারে এই বিনিয়োগের খবরে তেমন প্রভাব পড়েনি। একদিন বাড়ে তো দুই দিন কমে। আজ রোববারও সূচক কমেছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ১৬০ পয়েন্ট। নেমে এসেছে ৪ হাজার পয়েন্টর মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে। লেনদেন শেষে সূচকটি অবস্থান করছে ৩ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে।

শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৯০ পয়েন্ট।