শুধু পিস স্কুল নয়, অনুমোদনহীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরই পিস স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। কারণ ওই স্কুলটি যারা পরিচালনা করছেন তারা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার বিরোধী শক্তি।
বিদ্যালয়, যেখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়। তবে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়টি আলোচনায় আসতে থাকে। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়।
বুধবার সকালে লালমাটিয়া বি ব্লকের পিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ স্কুল পরিচালনার সঙ্গে স্বাধীনতার চেতনারবিরোধী শক্তি জড়িত। তারা এখানে এমনই মনোভাব তৈরি করছেন যেগুলো জঙ্গিবাদ তৈরির ক্ষেত্রে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিপথগামী করতে উৎসাহিত করে।
যার জন্য এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে দিতে পারি না। তবে আমরা বন্ধ রাখছি আরো তদন্ত করে সঠিক তথ্যগুলো বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
পিস স্কুলের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনুমোদন না নিয়ে কাউকেই শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। এবং এই ধরনের যেকোনো স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় কেউই অনুমোদন ছাড়া পরিচালনা করতে পারবেন না।
পিস নামে বাংলাদেশে কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
তবে অনুমোদনহীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, স্কুল পরিচালনা করে যারা শিক্ষার্থীদের ভুল পথে চালিত করছেন তাদের দায়িত্ব স্কুল পরিচালনা কমিটিকেই নিতে হবে।
ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের পর অনুমোদনহীন পিস স্কুলগুলোও গত মঙ্গলবার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।