বাংলাদেশ সফর বাতিলের ব্যাপারটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে দুবাইয়ে আইসিসির সভার ফাঁকে পিসিবি যে অযৌক্তিক প্রস্তাব করেছে তা মেনে নেবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অন্তত বিরাজমান অবস্থায় বিসিবি কোনভাবেই পাকিস্তানের মাটিতে দল পাঠাবে না। তাতে অনড় থাকবে পাকিস্তান। জুলাইয়ের পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি এক অর্থে তাই বাতিলই বলা যায়।
পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশ দল যেন পাকিস্তানে গিয়ে অন্তত দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে। তাহলে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে দেশটি। অথচ এ বছরের জুলাইয়ে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরটি আইসিসির এফটিপি’র অন্তর্ভুক্ত।
সিরিজটি আয়োজনের প্রস্তুতিও নিচ্ছিল বিসিবি। হঠাৎ পিসিবি অযৌক্তিক দাবির কথা জেনে বিস্মিত বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ‘আমরা সত্যিই বিস্মিত। আমরা এক মাস আগেও জানতাম তারা এখানে সফর করবে।’
আইসিসির সভার জন্য দুবাইয়ে থাকা নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে মুঠোফোনে এ প্রসঙ্গে আলাপ করেন জালাল ইউনুস। পরে বৃহস্পতিবার মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পিসিবির প্রস্তাবের ব্যাখ্যা দেন তিনি।
‘তারা (পিসিবি) চাচ্ছিল বাংলাদেশ দল কমপক্ষে দুটি টি-টুয়েন্টি পাকিস্তানে গিয়ে খেলুক। বাকিটা আমাদের এখানে কন্টিনিউ করবে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি না ওখানে গিয়ে খেলতে। আমরা আমাদের সূচিতে থাকতে চাই। সম্পূর্ণ সিরিজটা এখানেই খেলতে চাই।’
২০১২ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর বাতিল করায় পিসিবিকে ২০১৫ সালে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল বিসিবি। আর তখন দুই বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে পাকিস্তান।
হঠাৎ পিসিবির ডিগবাজিতে তাই হতাশ জালাল ইউনুস, ‘২০১৫ সালে পর আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল পরের দুটি সিরিজ তারা আমাদের এখানে খেলবে। এটা নিয়ে একটা আর্থিক ইস্যু ছিল। বিষয়টি তখনই নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। তারা বলেছিল ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশেই খেলবে। এটা আমাদের এফটিপি’র সিরিজ। সফরটা আমাদের প্রাপ্য। এফটিপি অনুযায়ী এটা বাংলাদেশের হোম সিরিজ। পাকিস্তানের সিরিজ নয়।’
পিসিবির আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোয় বিসিবি মনে করছে পাকিস্তান বাংলাদেশ সফর করবে। শেষ পর্যন্ত সিরিজ বাতিল হলে বিসিবি কী সিদ্ধান্ত নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে অফিসিয়ালি কোনকিছু পাইনি। এটা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সেখানে হয়তো তারা বলেছে তারা সফর আপাতত স্থগিত করেছে। আমরা এখনো অফিসিয়ালি কনফার্ম না। আমরা এখন পর্যন্ত জানি তারা এখানেই আসবে। এটা আলোচনার ব্যাপার রয়েছে। এটা যদি পিছিয়ে কিংবা বাতিল হয়ে যায় তখন আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা করতে হবে। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব পরবর্তীতে কী করা যায়।’