পিলখানা ট্র্যাজেডির নবম বার্ষিকীতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধির পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ফুল দিয়ে পিলখানার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর উপস্থিত সবাই তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভীষিকাময় এক স্মৃতি। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে ওই নারকীয় হত্যকাণ্ড।
বিডিআরের কিছু বিপথগামী সদস্য দাবি-দাওয়ার নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে মহাপরিচালকসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত হয় নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জন।
ওই হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের পর গত বছর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১শ’ ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় আরো ১শ’ ৯৪ জনকে এবং খালাস দেওয়া হয় ২৯ জনকে।
প্রতিবারের মতো নিহতদের স্মরণে এবারও নানা কর্মসূচি পালন করছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।