পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার জানখালি, বড় মাছুয়া, তুলাতলা, তুষখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ীভাবে বাঁশ পুঁতে ও ড্রাম ব্যবহার করে বাঁধা জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরা চলছে।
এর ফলে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ ও মাছের ছোট ছোট পোনা বাঁধা জালে আটকা পড়ছে। এতে ধীরে ধীরে মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে বলেশ্বর নদী।
নদীর এ মাছ শূন্যতা রক্ষা করতে বিভিন্ন সময়ে জেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, ভ্রাম্যমান আদালত এসব নদ-নদীতে অভিযান চালালেও বন্ধ হচ্ছে না মাছ নিধন।
মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন সময়ে এই নদীতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও মাছ ধরার উপকরণ আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিলেও কোনো কাজ হয়নি।
সম্প্রতি মঠবাড়িয়া উপজেলার জানখালী, মাছুয়া, তুষখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বাঁধা জাল, কারেন্ট জাল, নেট জাল, ড্রাম আটক করে জেলা প্রশাসন।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডক্টর অলিউর রহমান বলেন, দুটো বড় বড় বাধাঁ জাল তুলেছি, কারেন্ট জাল তুলেছি। বাঁধা জালে অনেক ইলিশ মাছের বাচ্চা ধরা পড়ে। এসব বাচ্চা রক্ষা করার জন্য এ জাল অপসরণ করা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, মৎস্য রক্ষা ও অপসরণের ১৯৫০ এর আওতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে আমরা নিয়মিত কারেন্ট জাল ধরছি এবং জাটকা সংরক্ষণের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর অসহযোগিতার কারণে মাছ নিধন বন্ধ করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।