আজ সকালে ঘুম ভাঙলো
ফুলের মিষ্টি সুবাসে,
সকালটা আজ মনে হলো
একেবারে অন্যরকম।
বাতাসে পেলাম আনন্দের বার্তা
ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনিতে বাজল ভালোবাসার সুর।
পাখির মিষ্টি কণ্ঠ শোনাল সুপ্রভাত।
কারণ খুঁজতে গিয়ে স্পষ্ট হলো
পিতা, আজ আপনার জন্মদিন।
পিতা,
সবুজ শ্যামল বাংলার একটি গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়
আপনি জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন।
অনেক বাধা অতিক্রম করে
অনেক সংগ্রামে জয়ী হয়ে
আপনিই বুকে এঁকে নিয়েছিলেন
পঞ্চান্ন হাজার পাঁচশত আটানব্বই বর্গমাইলের মানচিত্র
অন্তরে ভরে নিয়েছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির ভালোবাসা।
আর তাই, আপনার দৃঢ় উচ্চারণ ছিল
বাঙালি কখনও মাথা নিচু করে থাকবে না
বাঙালি কখনও পরাধীন থাকতে পারে না।
আপনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন
ভয়কে করেছেন তুচ্ছ,
লোভ লালসা আপনাকে বিন্দুমাত্র লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি।
বরং জেল জুলুম অত্যাচারের ভয় বাধা সংকটে বন্ধুর মতো,
পিতার মতো আপনিই জাতির প্রেরণা যুগিয়েছেন।
উনিশ‘শ একাত্তর সালের সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে
আপনিই তো জাতিকে শোনালেন মুক্তির গান
বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করলেন
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
আপনার সেদিনের মুক্তির গানে
স্বাধীনতার গোলাপ ফুটেছিল
মুক্তিকামী মানুষের সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে
খান সেনারা পিছু হটে পিণ্ডি ছুটেছিল
আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বেই
দু শত চৌদ্দ বছর পর আমরা পেলাম স্বাধীনতা
পেলাম মুক্তির স্বাদ
বুক ভরে মুক্ত বায়ু সেবনের অধিকার।