ছদ্মবেশী সাংবাদিকের ফাঁদে পা দেওয়ায় পুনে স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর পাণ্ডুরং সালগাওকারকে বরখাস্ত করেছে দ্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ভারত-নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে এমন ঘটনা ঘটল।
ইন্ডিয়া টুডে টিভির এক সাংবাদিক সালগাওরকে পিচ টেম্পারের প্রস্তাব দেন। দুজনের কথোপকথন গোপনে ভিডিও করা হয়। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের পিচে দাঁড়িয়ে দুজন এই আলাপ করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৮ বছর বয়সী সালগাওকার সাংবাদিকের প্রস্তাবে সায় দিচ্ছেন। ইন্ডিয়া টুডে টিভি বলছে, ভিডিওটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধারণ করা।
ভারতের এক সময়ের তারকা পেসার কীভাবে দেশের ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে এমন ফাঁদে পা দিলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
বিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরী পিটিআইকে বলেন, ‘ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে পাণ্ডুরং সালগাওকারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতীয় বোর্ডের সকল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ থাকতে হবে তাকে।’
এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সালগাওকার নিজ ক্ষমতাবলে ওই সাংবাদিককে উইকেটের কাছে নিয়ে যান। বিসিসিআইয়ের নিয়মানুযায়ী, বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া পিচের কাছাকাছি কারো যাওয়া নিষেধ। নিষেধের এই তালিকায় সাংবাদিকরাও আছেন।
৭০ দশকে সালগাওকার গতিদানব হিসেবে ভারতে বেশ নাম করেন। সুনীল গাভাস্কারের আত্মজীবনী ‘সানি ডেজ’এ সালগাওকারকে এমন একজন দুর্ভাগা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যিনি কখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পারেননি। ৬৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২১৪টি উইকেট দখল করেন তিনি।
পুনের এই মাঠের পিচ নিয়ে আইসিসির অভিযোগ অনেক দিনের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারত এখানে ৩৩৩ রানে হেরে যায়। ওই ম্যাচটি তিনদিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের পর পিচকে নিকৃষ্ট মানের বলেছিল আইসিসি।
ওই সময় বোর্ডের সাবেক সচিব অজয় শিরকে বলেন, এই উইকেট নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তদন্ত করুক। তার দাবি ছিল, উইকেট নিয়ে ‘পিচ ফিক্সিং’ হয়েছে। শিরকের কথা কেউ সেসময় গুরুত্ব না দিলেও এবার বোঝা গেল এই পিচ ঘিরে নিয়মিত কিছু একটা ঘটতো!