আক্রমণ ত্রয়ী লিওনেল মেসি, নেইমার ও কাইলিয়ান এমবাপে ছিলেন দলে। বল দখল—গোলে শটের বিচারেও ন্যানটেসের থেকে যোজন এগিয়ে ছিল পিএসজি। তারকা সমৃদ্ধ দলটিকে তবুও ধরাশায়ী হতে হল অসহায়ভাবে। পনের ম্যাচ পর লিগ ওয়ানের শীর্ষ দলটি পেল হারের তেতো স্বাদ।
শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ৩-১ গোলে হেরেছে প্যারিসের ক্লাবটি। প্রথমার্ধে অবিশ্বাস্যভাবে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ন্যানটেস। শেষ অর্ধে সুযোগ মিসের মহড়ায় হার মানে মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল।
ন্যানটেসে কুপোকাত হবার আগে চলতি মৌসুমে গত অক্টোবরে রেনের মাঠে ২-০ ব্যবধানের পরাজয় মেনেছিল পিএসজি। লিগে ভুলতে বসা হারের তিক্ত স্বাদ পেলেও শীর্ষস্থানেই থাকছে মেসি-এমবাপেদের দল। ২৫ ম্যাচে ১৮ জয়ে ৫৯ পয়েন্ট প্যারিসের দলটির। টেবিলে দুইয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে অলিম্পিক মার্সেইল। দারুণ জয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা পাঁচে আছে ন্যানটেস।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেয়া পিএসজি এদিন গোলের লক্ষ্যে ১৩টি শট নিলেও জালের দেখা পেতে ভুগতে হয়েছে। দলটির সঙ্গে প্রথমবারের দেখায় প্যারিসের হয়ে অভিষেক গোল পাওয়া মেসিও ছিলেন বোতলবন্দি। কাইলিয়ান এমবাপেও পারেননি দলের হার রুখতে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুর চার মিনিটেই পিছিয়ে পরে পচেত্তিনোর শিষ্যরা। সিমন্সের বাড়ানো বলে দলকে এগিয়ে নেন রান্ডাল কোলো মুয়ানি। ১২ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্লিন।
প্রথমার্ধে আট মিনিটে মেসির শট পরে এমবাপেকে হতাশ করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক আলবা লাফু। জালের দেখা পেতে মরিয়া পিএসজি প্রথমার্ধেই পড়ে আবারও পিছিয়ে। যোগ করা সময়ে জর্জিনিয়োর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিক দল। ভিএআরে গড়ানো সিদ্ধান্ত সফল করে ন্যানটেস।
দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতে ব্যবধান কমান নেইমার। চোট কাটিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে খেলা ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক শুরুর একাদশেই নামেন। গোল এনে দেয়ার পাশাপাশি পেনাল্টি মিসের পীড়ায়ও ভুগেছেন তিনি। মেসির পাসে পাওয়া বল নিয়ে ডান পায়ের দারুণ এক প্লেসমেন্টে বল জালে জড়ান ফরোয়ার্ড। ৫৭ মিনিটে এমবাপে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নেইমারের দুর্বল স্পট কিক সহজে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক লাফু।
৬৯ মিনিটে মেসির শট রুখে দেন লাফু, ৭৩ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েও হেলায় গোল করতে ব্যর্থ হন ফরাসি উইঙ্গার এমবাপে। বাকি সময়ে আক্রমণের পসরা সাজালেও কাঙ্ক্ষিত জালের দেখা পায়নি পিএসজি। লিড ধরে রেখে জয়ের উচ্ছ্বাসে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দল।