নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর কার্যক্রেমর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, পায়রা বন্দরটি শুধু সমুদ্র বন্দর নয় একসময় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে। পায়রা বন্দরের পাশে বসবাসকারীদের জীবনের আমূল পরিবর্তন আসবে পায়রা বন্দরের মাধ্যমে। সড়ক যোগাযোগও তো এখন আছেই, ইচ্ছে আছে ওখানে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।
তিনি আরো বলেন, এই বন্দর দিয়ে আসামের করিমগঞ্জ পর্যন্ত নৌবন্দর বিস্তৃত করা যাবে। ফলে প্রতিবেশি দেশগুলোর পণ্য আনা নেওয়ার সুযোগ আরো বাড়বে।
এসময় বন্দরের পাশে যাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হচ্ছে তারা যেন সঠিক দাম পায় সেটা নিশ্চিত করারও চেষ্টা করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীতে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা বন্দর’ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্দরের নিয়মিত কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে মাদার ভেসেল নোঙরে রেখে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাশ ও মালামাল ওঠা-নামার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরকে ঘিরে ইতোমধ্যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কলকারখানা স্থাপনে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসায় জমির মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে নানামুখী কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে পায়রা বন্দর।
এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার ধারায় এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করছে সরকার।
তার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, নরসিংদীর পলাশ, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।