শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ এ সময় তার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনকে সফল করতে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর উত্তরের সকল থানা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কেআইবি চত্বরে আসতে দেখা যায়। সম্মেলন স্থলে জায়গা করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সম্মেলনে আগত দু’পক্ষের মাঝে হালকা উত্তজনা দেখা দেয়। যার রেশ ধরে দু’’পক্ষের মাঝে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে সিনিয়র নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আজকের সম্মেলন মোট দু’টি পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্ব শেষ হবে আলোচনার মধ্য দিয়ে। সেখানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিগত সময়ের সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করবেন। এরপর অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল। সেখানে প্রথা অনুযায়ী কাউন্সিলরদের ভোটে আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচনের রীতি রয়েছে৷
কৃষকলীগ-জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের অভিজ্ঞতায় বলা যায় শুরুতে কাউন্সিলের কাছ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য নামের প্রস্তাব চাওয়া হবে৷ একপদে একাধিক প্রার্থীর নাম প্রস্তাব হলে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড প্রার্থীদের পারস্পরিক সমোঝতার জন্য আহ্বান জানাবেন।
এরপরও যদি প্রার্থীরা সমোঝতার মাধ্যমে একক কোন নেতা নির্বাচনে ব্যর্থ হয়, আগামী ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনস্থল আজকের প্রার্থী তালিকা থেকে দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরেরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলনে সভাপতি পদে ১৪ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়৷
সম্মেলনের এ দ্বিতীয় পর্বটি পরিচালনা করবেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহউদ্দিন নাছিম।
২০০৬ সালে সর্বশেষ ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৩ বছর বাদে আজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার এ সম্মেলন ঘিরে তাই স্বাভাবিক ভাবেই নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আবহ বিরাজ করছে।