বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ধসে এখন পর্যন্ত ৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন জায়গায় ধসের শিকার হয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ধোপাছড়ি এলাকাতেও প্রবল বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বান্দরবান সীমান্তে ধোপাছড়িতে ৪জন ও রাঙ্গুনীয়া উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুরে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২জন। অবিরাম বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ কসাইপাড়া এলাকায় প্লাবিত হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটিতে সোমবার রাতে পাহাড় ধসে কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি শহরে ১১জন ও কাপ্তাই উপজেলায় ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
বান্দরবান
বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানেও পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সুমন বড়ুয়ার সন্তান শুভ বড়ুয়া (৮) মিতু বড়ুয়া (৬) লতা বড়ুয়া (৫)। অপর পাহাড় ধসের ঘটনায় কালাঘাটা এলাকায় রেভা ত্রিপুরা (১৯) নামে বান্দরবান সরকারী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও লেমুঝিরি আগা পাড়ায় পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন কামরুন নাহার (২৭) সুকিয়া আক্তার (৮)।
বান্দরবানের কালাঘাটাপাড়া ও লেমুঝিড়ি আগাপাড়ার বাসিন্দারা জানান, টানা বৃষ্টিতে কালাঘাটাপাড়ায় পাহাড়ের নিচের একটি বাড়ি ধসে পড়লে একই পরিবারের ৩ শিশু মারা যায়। লেমুঝিড়িতে বাড়ি ধসে নিখোঁজ হন মা-মেয়ে।
ভোর ৪টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাটির নিচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে অবিরাম বৃষ্টিতে অচল হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার জীবনযাত্রা।পানিতে আটকা পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। দেশের ৪টি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ৩ নং স্থানীয় সংকেত জারি রয়েছে।