চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাহাড়ে আবার ইয়েতির পায়ের ছাপ!

কাকাবাবু গল্পের মতোই ভারতীয় সেনা তুষারমানবের ‘রহস্যময় পদচিহ্নের’ ছবি শেয়ার করে আবারও কাল্পনিক ‘ইয়েতি অভিযানকে’ উস্কে দেয়া হয়েছে। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মাকালু-বরুণ জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি নাকি এই অদ্ভুত কাল্পনিক প্রাণি ইয়েতির পায়ের ছাপ মিলেছে।

তবে এই কাল্পনিক তুষারমানবের গল্প শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত দেখতে পাননি কেউই, নেই কোনো ছবিও। কেবল মাঝে মাঝেই বিশালাকার পায়ের ছাপ ও টুকরো কিছু জিনিস কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে সবার মাঝে।

৩২X১৫ ইঞ্চি বা ৮১X৩৮ সেন্টিমিটারের ‘রহস্যময় পদচিহ্নের’ ধারণা পাওয়া যায় নেপালের লোকসাহিত্যে।

নেপালের লোকসাহিত্যে ইয়েতিকে ‘ভয়ঙ্কর তুষারমানব’ বলেই ডাকা হয়েছে, যা খানিকটা বনমানুষের মতো দেখতে, যে কোনও মানুষ থেকেই বিশালাকার। মানুষের বিশ্বাস এই প্রাণীঢ হিমালয়, সাইবেরিয়া, মধ্য ও পূর্ব এশিয়ায় বাস করে।

১৯ শতকেরও আগে ইয়েতিকে হিমবাহের প্রাণী বলে মনে করা হত! সেই সময় আদিবাসীরা ইয়েতিকে পুজো করত। মানুষ বিশ্বাস করত ইয়েতি আসলে বনমানুষের মতোই কোনও প্রাণী, যার সঙ্গে অস্ত্র হিসেবে থাকে একটা বিশাল পাথর, এবং সে পাহাড়ে শিস দিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

হিমালয়ের অভিযাত্রীদের অনেকে বারেবারেই হিমালয়ের বরফের মধ্যে একটি বন্য লোমশ জন্তুর গল্প শুনিয়েছেন।

১৯২০-র পর থেকে নেপালের এই পর্বতমালাকে ঘিরে এবং এর মধ্যে অদেখা ভয়ের এই কল্পকাহিনী মানুষের কাছে আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই, ইয়েতির পায়ের ছাপ, লোমের অংশ এসব দেখা গিয়েছে বলে দাবি উঠেছে কিন্তু আজ অব্দি কেউই এই ধরণের কোনও প্রাণীর কোনও বিশ্বাসযোগ্য ছবি দেখাতে পারেনি।

সম্প্রতি ২০১৬ সালে ট্র্যাভেল চ্যানেলে ‘হান্ট ফর দ্য ইয়েতি’ নামে একটি বিশেষ চার পর্বের অনুষ্ঠানও হয়েছে। গবেষকরা অবশ্য এতদিনেও ইয়েতির অস্তিত্বের সামান্যতম প্রমাণই খুঁজে পেয়েছেন।

২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি গোষ্ঠী হিমালয় অঞ্চল জুড়ে সংগৃহীত একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নমুনা নিয়ে গবেষণা করেন এবং অবশেষে জানান, ওসবই আসলে ভাল্লুকের।