চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পাহাড়ি জনপদে নির্বাচনী উত্তাপ

নির্বাচনী উত্তাপে পার্বত্য তিন জেলার ৫টি পৌরসভা সরগরম। প্রার্থীরা উন্নয়নের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাহাড়ি বাঙালীর মধ্যে সম্প্রীতি সুদৃঢ় করার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি সংসদীয় আসন হলেও পৌরসভা পাঁচটি। খাগড়াছড়িতে ২টি, রাঙ্গামাটিতে একটি ও বান্দরবানে ২টি। বান্দরবান পৌরসভায় মোট ২৬ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৫ হাজারের বেশি পাহাড়ি।

বর্তমান মেয়র বিএনপি’র। এবারেরও প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের। প্রচারণায় বাধার শংকা নিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে আগের ভালো কাজের জন্য ভোটাররা তার ওপর আস্থা রাখবে বলে দাবি করছেন তিনি।

বিএনপি প্রার্থী জাবেদ রেজা চৌধুরীর বিশ্বাস, গতবারের চেয়েও অনেক বেশি ভোট তিনি পাবেন। কারণ গত ৫ বছর ধরে তিনি এলাকার সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করেছেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ ইসলাম বেবী দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। সেই হিসেবে পৌর নাগরিকদের সেবায় নিজেকে পরীক্ষিত স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে দাবি তার। সম্প্রীতির বন্ধন রক্ষা করতে যা যা প্রয়োজন তাই করতে তার দল বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।

তবে নৌকা ধানের শীষের লড়াইয়ে একবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বিপ্লব লাঙ্গল নিয়ে আশাবাদী। নারী, শিশু, দরিদ্র ও অনগ্রসর-বান্ধব পৌরসভা গড়ে তোলার ইচ্ছা রয়েছে তার। তিনি বলেন, এখানে বাঙালী-পাহাড়ি বিষয় না। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অনগ্রসরদের মধ্যেই পড়ে।

ভোটারদেরও প্রত্যাশা বান্দরবানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মাঝে যে সম্প্রীতি রয়েছে সেটি যেনো অটুট থাকে। এলাকার যারা উন্নয়ন করবে তাকেই ভোট দেবেন বলে জানান এলাকাবাসী।

বান্দরবানের মতো খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতেও দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা।