পাহাড়ের শান্তি চুক্তি দুই যুগে পদাপর্ণ করেছে। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি-পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালি ও সরকারি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২৪ বছর আগে চুক্তিটি সম্পাদিত হয়। চুক্তির পর আশা করা হয়েছিল, এটি কার্যকর হলে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইবে, গতি আসবে অর্থনীতিতে। গত ২৪ বছরে এ আশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে। বদলে গেছে স্থানীয়দের জীবন যাপন ব্যবস্থা। সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পাল্টে দিয়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার।
চুক্তির আগে পর্যটকরা পার্বত্য জেলায় যেতে ভয় পেতেন। শান্তি চুক্তির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এখন পর্যটকরা নির্দ্বিধায় পাহাড়ে বেড়াতে আসছেন। আগে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে তেমন একটা গতি না থাকলেও এখন সে গতি কয়েক গুণ বেড়েছে।এর আগে দুই দশক স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চাকা বন্ধ ছিল। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় পার্বত্য এলাকা তার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পায়; সমসাময়িক কালে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সফল রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি আমাদের দেশের জন্য এক বিরল অর্জন হিসেবে গণ্য হয়। এ কারণে শেখ হাসিনার ইউনেস্কো পুরস্কার প্রাপ্তি ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি।
পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে চুক্তির স্বাক্ষর হয়, যা পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা শান্তিচুক্তি নামে পরিচিতি পায়। সরকারের দাবি চুক্তির বেশির ভাগ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে। আর অবাস্তবায়িত ধারাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে এবং এর জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ দরকার।
অন্যদিকে, শান্তি চুক্তির পর দুই যুগে বেশকিছু বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়সহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হয়েছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ। যোগাযোগ খাতে হয়েছে উন্নতি। বাঘাইছড়ির সাজেকে পর্যটকদের জন্য নির্মিত হয়েছে টু স্টার মানের হোটেল ও থ্রি স্টার মানের পর্যটন কমপ্লেক্সে।
আগে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে না পারলেও এখন জেলেরা ইচ্ছেমতো মাছ শিকার করতে পারেন। শান্তি চুক্তির পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার কয়েক গুণ বেড়েছে। অর্থনীতিতে কাপ্তাই হ্রদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চুক্তির আগে সরকার এই হ্রদ থেকে ১ কোটি টাকাও রাজস্ব পেত না। এখন প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে সরকার। রাঙামাটির কয়েক হাজার পরিবার এখন কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল। পাহাড়ে জুম ফসল উৎপাদন বেড়েছে। জুমের ফসল আগে বাজারে নিয়ে যেতে বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হলেও বর্তমানে তা অনেকটা লাঘব হয়েছে। আগে জুমের ফসল বেশিরভাগই পথে নষ্ট হয়ে যেত, বর্তমানে পথে তল্লাশি তেমন একটা না থাকায় জুমের ফসল বাজারে অনায়াসে বিক্রি করতে পারছেন পাহাড়ি চাষিরা। চুক্তির পর যে খাতটি সবচেয়ে বেশি উন্নতি লাভ করেছে তা হচ্ছে কাঠ ব্যবসা।
চুক্তির পর এ অঞ্চলে কাঠ ব্যবসা কয়েক গুণ বেড়েছে। পাহাড়ের ভেতর আগে গাছের বাগান না কিনলেও এখন ব্যবসায়ীরা বাগান কিনছেন। এতে বাগানিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শিক্ষা, যোগাযোগ ও নিরাপত্তাসহ প্রতিটি বিষয়ে উন্নতি হওয়ায় রাঙামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জেলায় সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। রাঙামাটির বাসিন্দা লক্ষ্মীধন চাকমা বলেন, সরকারি চাকরি একসময় আমাদের কাছে সোনার হরিণের মতো মনে হতো। কিন্তু পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে এখন পার্বত্যঅঞ্চলের শিক্ষিত ও মেধাবী ছেলেমেয়েরা সহজেই সরকারি চাকরি পাচ্ছে। চুক্তি না হলে এটা কখনোই সম্ভব হতো না।
শান্তিচুক্তির পর আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছু ঘটনা ঘটলেও তা দমিয়ে রাখতে পারেনি পাহাড়ের অর্থনীতির চাকাকে। শান্তি চুক্তির পরে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে মানুষের জীবনমানের যেভাবে উন্নয়ন ঘটেছে সেভাবে হয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও। এটা আমরা অনুধাবন করতে পারব শান্তিচুক্তির আগের এবং পরের সময়গুলো বিচার বিশ্লেষণ করলে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ের মানুষ সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছেন। কিছু আঞ্চলিক সংগঠনের বাধার ফলে সাধারণ মানুষ ভীত হয়েছিল। কিন্তু শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ের মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। এখানকার মানুষ প্রশাসনের অতুলনীয় সহযোগিতায় স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন।
পার্বত্য চুক্তির আগে পার্বত্য অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা ছিল। সাধারণ লোকজন অবাধে চলাফেরা করতে পারত না। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও গতি এসেছে। এখানকার মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের সব কাজ সম্পাদন করতে পারে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত আছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দহীনভাবে সবুজ পাতায় অন্তর্ভূক্তির জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে চলমান ১৯টি প্রকল্পেও চাওয়া হয়েছে বরাদ্দ।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১-২০২৪ সাল পর্যন্ত। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় পল্লী অবকাঠামো নির্মাণের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভার জলাবন্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে পানি ব্যবস্থার উন্নয়নে মাস্টার ড্রেইন নির্মাণ, এটি ২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বিভিন্ন পল্লী সড়ক উন্নয়ন, এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সদর হতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগ সড়কসহ ব্রিজ/কার্লভাট নির্মাণ, এটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলা সদর হতে বার্মাছড়ি বাজার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ, এটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ। ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি প্রকল্প। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার টেকসই সমাজ সেবা প্রদান। বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর হতে রুমা উপজেলা পর্যন্ত পল্লী সড়ক নির্মাণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় উচ্চ মূল্যের মসলা চাষ প্রকল্প।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সাংগু নদীর উপর দু’টি এবং সোনাখালী খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে মাস্টার ড্রেইন নির্মাণ।পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (দ্বিতীয় পর্যায়)। রাঙ্গামাটি পৌরসভাসহ সব উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও উন্নয়ন।বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেচ ড্রেইন নির্মাণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেচ ড্রেইন নির্মাণ। বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাথুরে এলাকায় জিএফএস ও সকল এলাকায় ডিপটিউবওয়েলের মাধ্যমে সুপেয় পানীয়জল সরবরাহ।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজু বাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্প এবং খাগড়াছড়ি জেলার বাজারসমূহ ও নিকটবর্তী এলাকায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাকরণ প্রকল্পও বর্তমানে চলমান রয়েছে।পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের (আইসিডিপি) আওতায় ইউনিসেফ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে পাড়া কেন্দ্র নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন করছে,যা বর্তমানে তিন পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির মানুষের মৌলিক সামাজিক সেবা প্রাপ্তির মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।
পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি পাহাড়ি জনগণের বিশেষ অবস্থান ও মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই শান্তি চুক্তির আওতায় তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদ সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে। আঞ্চলিক পরিষদের গঠন কাঠামো নিম্নরূপ: চেয়ারম্যান ১, সদস্য (আদিবাসী) পুরুষ ১২, সদস্য (আদিবাসী) মহিলা ২, সদস্য (অ-আদিবাসী) পুরুষ ৬, সদস্য (অ-আদিবাসী) মহিলা ১। চুক্তিতে একজন উপজাতিকে প্রধান করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য একটি উপজাতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের কথা বলা হয়েছে। উপজাতিদের ভূমি মালিকানা অধিকার নির্ধারিত হলে তাদের ভূমি ফিরিয়ে দেয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূমির ওপর মালিকানা নির্ধারণের জন্য ভূমি জরিপ-ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।
আজ উপজাতীয় জনগণের প্রতিটি ঘরে শিক্ষিত তরুণ যুবক। প্রতি ঘরে কমপক্ষে একজন চাকরিজীবী, চাকমাদের শিক্ষার হার ৯৭%। বিসিএসসহ সব চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা, অগ্রাধিকার ব্যবস্থা, সব বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজে উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা ব্যবস্থা, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় স্কলারশিপসহ সব মিলিয়ে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগণের উন্নয়ন এই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত যেকোনো অঞ্চল থেকে অনেকগুণ উন্নত।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা সচেষ্ট। পার্বত্য অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বর্তমান সরকারের কোনো অগণতান্ত্রিক ও জনবিরোধী উদ্যোগ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন। ভূমি কমিশন গঠন ও ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিল ২০১০’ জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ধারণা সবাই মেনে নিয়েছে। আমরা মনে করি, শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার প্রচেষ্টাকে সহায়তা ও সমর্থন করা সেখানকার উন্নয়নের জন্য জরুরি।
চলমান বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সফলভাবে পরিচালনার উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত থেকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের অপরিহার্যতা লক্ষ্য করা যায়। তবে শান্তি চুক্তিতে বর্ণিত সব নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখার প্রত্যয় বাস্তবায়নে পাহাড়ি-বাঙালির যৌথ প্রচেষ্টা দরকার।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)