পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়ন ও কয়েকটি বাম সংগঠনের ‘পাল্টা আঘাত’ নামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট ডেকেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বামছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও করতে মিছিল শুরু করে। শাহবাগ, দোয়েল চত্বরে পুলিশি বাঁধার সম্মুখিন হয় তারা। এরপরও তারা শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণির (বেইলি রোড) দিকে এগিয়ে গেলে অফিসার্স ক্লাবের সামনে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ শুরু করে।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দী জানান, পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে তারা ডিএমপি কার্যালয়ের কাছাকাছি অফিসার্স ক্লাবের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন তারা। এসময় তারা ডিএমপি কমিশনারের সাথে কথা বলতে চান।
পুলিশ তাদের দাবি নাকচ করে বেলা ১ টার দিকে মিছিলের মধ্যে রায়টকার নিয়ে ঢুকে পড়ে। একই সাথে লাঠিচার্জ শুরু করে।
লিটন নন্দী দাবি করেন, এতে তাদের ৩০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও ৫ জনকে।
ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা ও নেতাকর্মী হয়রানির প্রতিবাদে বিকালে সাড়ে ৫টায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও আগামীকাল (সোমবার) বিকাল ৪ টায় সারাদেশে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
১২ তারিখ (মঙ্গলবার) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।